Youth School for Social Entrepreneurs (YSSE) আয়োজিত “আজকের তারুণ্য” মূলত তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য একটি বিশেষ আয়োজন। অনুষ্ঠানটির প্রত্যেক পর্বেই একজন সফল তরুণ উদ্যোক্তা তুলে ধরেন তাঁর সাফল্যের কথা, সমাজ ও দেশের প্রতি তাঁর অবদান এবং স্বপ্নের কথা।
“আজকের তারুণ্য” এর ১৯তম পর্বে এবার অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রাভেল বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান রনি। তিনি এছাড়াও তিনি দক্ষিন এশিয়ান ইয়ুথ লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ বিজয়ী।
সানজিদা ফাইজা নিশাত-এর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে YSSE এর ফেসবুক পেইজে।
এই অনুষ্ঠানে তিনি নিজের কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরার পাশাপাশি কিভাবে তিনি এটি শুরু করলেন সেটি দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন।
ইউনিভার্সিটি জীবনে উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করার কথা মাথায় আসে তাঁর। এজন্য তিনি এই বিষয়ে রিসার্চ করা শুরু করেন অর্থাৎ কোন বিষয়ের উপর তিনি তাঁর কাজ করবেন , সে বিষয়ে গেলে তিনি কিভাবে আগাবেন সেগুলো। তিনি চিন্তা করেন বাংলাদেশের একটি বড় সেক্টর হচ্ছে ভ্রমণ। বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত ভ্রমণ পিয়াসু। সে থেকেই তাঁর মাথায় আসে কিভাবে এটি নিয়ে কাজ করা যায়। তাই তিনি ‘ ট্রাভেল বাংলাদেশ ‘ নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে তিনি সম্পূর্ণভাবে এর সঙ্গে যুক্ত আছেন এবং এই প্রতিষ্ঠানকে কিভাবে বড় করা যায় সেটি নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছেন।
এখন তাঁর একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে ‘ ট্রাভেল বাংলাদেশ ‘ – কে এমন একটি পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া যেখানে মানুষ কোনো সময় বাংলাদেশের কোথাও ভ্রমণ করতে চাইলে প্রথমেই যাতে ‘ ট্রাভেল বাংলাদেশ ‘ – এর কথা মাথায় আনেন। এজন্য তারা একটি জায়গাকে এমনভাবে উপস্থাপন করেন যাতে ভ্রমণপিপাসুরা সে জায়গা সম্পর্কে সঠিক ধারণা পান। এছাড়া তারা যাতে ওই জায়গা সহ তার আনুষঙ্গিক বিষয় যেমন : কিভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন, কোথায় খাওয়া দাওয়া করবেন, সেখানকার কোন জিনিসগুলো বিখ্যাত খাওয়া জন্য আর ঘুরার জন্য ইত্যাদি তুলে ধরার চেষ্টা করেন।
এছাড়াও তাঁরা বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি এর সাথে নিজেদের আন্তসম্পর্ক স্থাপন করছেন যাতে করে ভ্রমণপিপাসুদের যাত্রা আরো সহজ করা যায়।
এই Pandemic অবস্থায় যেখানে সব কোম্পানি তাদের কর্মী ছাঁটাই এ ব্যস্ত সেখানে ‘ ট্রাভেল বাংলাদেশ ‘ তাদের টিমকে শক্তিশালী করার জন্য আরো বড় করেছে। এছাড়া তাঁরা তাদের কন্টেন্ট ইংরেজিতে করছে যাতে করে বাংলাদেশের বাইরে থেকে কোনো পর্যটক আসতে পারে আর বাংলাদেশ সম্পর্কে একটা পজিটিভ ধারণা পায়।
এছাড়া তিনি নতুন যারা উদ্যোক্তা হতে চাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলেন , তারা যাতে কোনো নতুন কিছু শুরু করতে চাইলে আগে থেকেই সে বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। কোনো কিছুই শুরু করতে হলে সে বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তা না হলে আপনার উদ্যোগ ভেঙে পড়তে পারে এবং আপনিও বিপর্যস্ত হতে পারেন। তাই ওই বিষয়ে যারা অভিজ্ঞ তাদের থেকে পরামর্শ নিন, নিজের নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি ও সমৃদ্ধ করুন। কারণ একজন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য যেই বিষয়টি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে নিজের নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি ও সমৃদ্ধ করা।
কাজী রবিউল ইসলাম / ওয়াইএসএসই