অল্প টাকায় ব্যবসার আইডিয়া যা আপনি শুরু করতে পারবেন আজই!
ব্যবসা করতে গেলে প্রয়োজন টাকা, সাবেক কাল থেকেই এই ধারণা প্রচলিত। আমরা সকলেই নানা সময়ে শুনে এসেছি, বড় রকমের মূলধন জোগাড় করতে না পারলে নাকি ব্যবসায় নামাই উচিত্ না।
সত্যিই কী তাই? নাকি উদ্ভাবনী, দক্ষতা, শ্রম আর সৃজনশীলতা দিয়ে নেহাতই অল্প টাকায় ব্যবসা শুরু করা সম্ভব?
ফাস্টফুড ডেলিভারি
ভোজনরসিক বাঙালির রসনা তৃপ্ত করতে পারলে ব্যবসার অভাব হয় না। অল্প টাকায় ব্যবসা শুরু করতে হলে নিজের বাড়ি থেকেই ব্যবসা করুন। প্রয়োজন একটা রান্নাঘর, ভাল রান্নার কারিগর আর সুস্বাদু রেসিপি।
বর্তমানের জোম্যাটো সুইগির যুগে খাবার পৌঁছে দেওয়া নিয়েও আর ভাবতে হবে না আপনাকে। আপনার কাজ শুধু খাবার অর্ডার নেওয়া আর সেই মতো খাবার প্রস্তুত করা। তবে মনে রাখতে হবে কলকাতাসহ বাংলার বিভিন্ন জায়গায় রয়েছে হাজারো খাবারের দোকান, তাই তাদের সাথে পাল্লা দিতে খাবারের গুণমান ও স্বাদের দিকে রাখতে হবে কড়া নজর আর নজর দিতে হবে অভিনব নতুন রেসিপিতে। দেশ বিদেশের নানা রেসিপি থেকে পেতে পারেন আইডিয়া।
ক্যাফে/কফিশপ
ক্যাফে বা কফিশপের চাহিদা ক্রমশই বাড়ছে কলকাতা, শহততলি আর মফস্বলে। সঠিক কৌশল আর পরিকল্পনা নিয়ে চলতে পারলে এটি বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার একটি। অল্প টাকায় ব্যবসা শুরু সম্ভবএর জন্য প্রয়োজন একটি ঘর, তা হতে পারে আপনার বাড়ির গ্যারাজও অথবা ঘর ভাড়া করতে পারেন একটি জমজমাট এলাকায়। ঠিক মতো প্রচার করতে পারলে সব সময়ে বড় রাস্তার ওপর হওয়ারও প্রয়োজন নেই।
ক্যাফের ইন্টিরিয়রের দিকে নজর দিন, ক্রেতাকে আকর্ষণ করার অন্যতম মূল চাবিকাঠি নজরকাড়া ইন্টিরিয়র আর আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা। দরকার নেই দামি চেয়ার টেবিল, কিছু বেতের মোড়া বা বড় জলচৌকি দিয়েও কাজ চলে যাবে যদি তা ঠিকভাবে সাজাতে পারেন।
আরো পড়ুন: ঘরে বসে আয় করতে চান? জেনে নিন ভারতের সেরা ২৪টি ফ্রিল্যান্সিং সাইটের নাম
পাশাপাশিই চমক রাখুন খাবারের মেনুতে, দাম রাখুন মধ্যবিত্তের আয়ত্ত্বের মধ্যে। এক্ষেত্রেও খাবারের মেনুর জন্য দেখতে পারেন বিদেশি রেসিপি। প্রচলিত চাইনিজ্, থাই খাবারের বাইরে রাখুন নতুন ধরণের খাবার।
পাশাপাশিই রাখতে পারেন কফি মগ বা অন্যান্য খুচরো গিফ্ট আইটেম বিক্রির ব্যবস্থা। ক্রেতাদের বসে পড়ার জন্য রাখতে পারেন কিছু বইও। এছাড়াও সপ্তাহান্তে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাও করতে পারেন।
ক্যাটারিং
আরেকটি অন্যতম বেশি লাভের ব্যবসা হল ক্যাটারিংয়ের ব্যবসা। বিয়েবাড়ি থেকে অফিসের বার্ষিক সম্মেলন ক্যাটারিয়ের চাহিদা সর্বত্র। বড় শহর হোক বা মফস্বল, উত্সবে অনুষ্ঠানে যেকোনও জায়গাতেই ডাক পড়ে ক্যাটারারদের।অল্প টাকায় ব্যবসা শুরু করতে হলে এই ব্যবসার কথা ভেবে দেখতে পারেন। ব্যবসা শুরু করতে প্রথমেই প্রয়োজন একটা নির্ভরযোগ্য টিম। সন্তোষজনক পরিষেবাই এই ব্যবসার মূল, তাই আপনার টিম হতে হবে পরিশ্রমী, হাসিখুশি ও নির্ভরযোগ্য। এছাড়া কিনতে হবে প্রয়োজনীয় বাসনপত্র, গ্যাস উনুন ইত্যাদি।বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। তাই এক বা একাধিক ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলে বাড়তে পারে ব্যবসা।
ট্রাভেল আর ট্যুরিজম
ভোজনরসিক হওয়ার পাশাপাশি বাঙালি ভ্রমণপিপাসুও বটে, ফলে মানুষকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়া কম খরচে লাভের ব্যবসা।অল্প টাকায় ব্যবসার কথা ভাবলে এটিই হতে পারে আপনার জন্য সবথেকে সহজ উপায়। এই ব্যবসা শুরু করতে বিনিয়োগ বিশেষ লাগে না, লাগে শ্রম, অধ্যাবসায়, আর বেড়ানোর প্যাশন। টিকিট কাটা, হোটেল বুকিং, বেড়ানোর পরিকল্পনা তৈরি ইত্যাদি ঝক্কি এড়াতে অনেকই ভরসা করেন বিভিন্ন এজেন্সির ওপর। সন্তোষজনক অভিজ্ঞতা হলে তাঁরাই ফিরে ফিরে আসেন প্রতিবছর।এই ব্যবসা শুরু করতে প্রথমেই ঠিক করে নিতে হবে বেড়ানোর জায়গা। কীধরণের জায়গায় নিয়ে যেতে চান, কোন ধরণের হোটেলে রাখবেন পরিকল্পনা করে নিতে হবে গোটাটা। বিভিন্ন সামাজিক অর্থনৈতিক অবস্থার মানুষের চাহিদা বিভিন্নরকম, আপনি কাদের পরিষেবা দিতে চান ঠিক করে নিতে হবে সেই বিষয়।এই ব্যবসায় বিনা বিনিয়োগে আয় করা সম্ভব। নতুন নতুন জায়গা খুঁজে বের করলে ব্যবসা বাড়ার সম্ভাবনা বেশি, পাশাপাশিই জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পটগুলোকেও রাখতে পারেন তালিকায়। সেইসব জায়গাগুলোর হোটেলের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করে নিন কত শতাংশ ছাড় বা এজেন্ট কমিশন দিতে প্রস্তুত তারা।পাশাপাশিই বেড়াতে নিয়ে গিয়ে খাওয়ানোর ব্যবস্থা কী করবেন সেই নিয়েও ভাবনাচিন্তা করুন। হোটেলের খাবার না নিয়ে নিজেরা খাবার ব্যবস্থা করলে লাভ বেশি হবে। সেইমতো জোগাড়যন্ত্র করে এগোন।
ট্রেকিং এজেন্সি ও ট্রেকিং গিয়ার ভাড়া
মূলতঃ ট্রাভেল এজেন্সি হলেও এই ব্যবসার ধরণ, গ্রাহক, প্রয়োজনীয় দক্ষতা ইত্যাদি অনেকটাই আলাদা। আপনার যদি নিজের পর্যাপ্ত ট্রেকিংয়ের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা থাকে তবেই ভাবুন এই ব্যবসা শুরুর কথা। পাশাপাশি দরকার পাহাড়ের প্রতি ভালবাসা ও প্যাশন।ট্রেকিং এজেন্সিও একটি অল্পপুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা। কারণ ট্রেকিংয়ের জন্য অনেকেই এখন ভরসা করেন এজেন্সির ওপর।বিভিন্ন ট্রেকিং রুটের হালহকিকত্ জানা এই ব্যবসা শুরুর পূর্বশর্ত। জানা শোনা থাকতে হবে স্থানীয় গাইড ও অন্যান্য মানুষের সঙ্গেও। নিজের বন্ধু বান্ধব পরিচিতদের নিয়ে যাওয়া দিয়েই শুরু করতে পারেন। সতর্কভাবে পুরোটা পরিকল্পনা করে নিতে হবে আগে।একবার ট্রেক শুরু করার পর কোনও ভুল শোধরানোর সুযোগ পাবেন না। ফলে যাত্রা শুরুর আগেই নিশ্চিত করে নিতে হবে প্রয়োজনীয় প্রতিটি বিষয়ে ঠিকমতো খেয়াল করেছেন। সামান্য অসাবধানতা এক্ষেত্রে মারাত্মক প্রমাণিত হতে পারে।এর পাশাপাশি ট্রেকিংয়ে প্রয়োজনীয় যাবতীয় জিনিস বিক্রি ও ভাড়া দেওয়ার ব্যবসাও শুরু করতে পারেন। তাঁবু, স্লিপিং ব্যাগ, ম্যাট্রেস সহ একাধিক জিনিস প্রয়োজন পড়ে ট্রেকারদের, বছরে একবার যাওয়ার জন্য বেশিরভাগই এগুলো না কিনে ভাড়া করে নিয়ে যাওয়াই সহজ মনে করেন।অল্প পুঁজিতে আপনি কিনে নিতে পারেন কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস, ব্যবহার করতে পারেন নিজের এজেন্সির কাজে বা ভাড়া দিতে পারেন অন্য ট্রেকারদের। এছাড়াও যদি ট্রেকিং শ্যু, জ্যাকেট, রুকস্যাক ইত্যাদি তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন তাও হতে পারে লাভজনক বিজনেস।
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট
ছোট বড় বিভিন্ন সংস্থা তাদের নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের দায়িত্ব দেয় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিগুলিকে। অত্যন্ত অল্প টাকায় ব্যবসা শুরু করা সম্ভব।এই ব্যবসার জন্য প্রয়োজন দক্ষতা, পরিশ্রম, প্রত্যুত্পন্নমতিত্ব আর যোগাযোগ তৈরির ক্ষমতা। কাজের মাধ্যমেই নিজের কোম্পানিকে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ করতে হবে, তাহলেই মিলবে নতুন কাজ।শুরু করুন ছোট ইভেন্ট দিয়ে পরে ধীরে ধীরে নতুন নতুন যোগাযোগ তৈরি করে ব্যবসা বাড়ান। কোন ধরণের ইভেন্ট আয়োজন করতে আপনি সবথেকে বেশি সাচ্ছন্দবোধ করেন তা চিহ্নিত করুন এবং সেই অনুযায়ী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। অভিজ্ঞতা ও যোগাযোগ বাড়ার সাথে সাথে নতুন ধরণের ইভেন্টে হাত দিন।
ব্লগ লেখা (Blog Writing)
ঘরে বসে ব্যবসা করার অন্যমত সহজ উপায় ব্লগ লেখা। গত এক দশকে পৃথিবীজুড়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই ব্যবসা।এই ব্যবসার জন্য প্রথমেই বেছে নিতে হবে আপনার পছন্দের বিষয়টি। এমন বিষয় বাছুন যা সময়ের সাথে সাথে অচল হয়ে যাবে না। বিষয়টি সম্পর্কে অবশ্যই আপনার জ্ঞান ও আগ্রহ থাকা প্রয়োজন, না হলে বেশিদিন চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবেনা।পাশাপাশি দরকার ভাষার ওপর দখল ও লিখতে পারার ক্ষমতা। ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবেই সবথেকে বেশি মানুষের কাছে পৌঁছনো সম্ভব, কিন্তু বর্তমানে আঞ্চলিক ভাষার ব্লগের চাহিদাও বাড়ছে। অনেকেই অনলাইনে মাতৃভাষায় পড়তে পছন্দ করেন।ব্লগটির মাধ্যমে আপনি কোন পাঠকের কাছে পৌঁছতে চাইছেন সে বিষয় পরিষ্কার ধারণা থাকা আবশ্যিক। ব্লগের ভাষার ধরণ ও রচনা শৈলী নির্ভর করবে তার ওপর। অনলাইনে বিনামূল্যে ব্লগ তৈরির বিভিন্ন গাইড সহজেই পাওয়া যায়। কীভাবে খুব সহজেই ব্লগ তৈরি করবেন জানতে এখানে ক্লিক করুন।ব্লগ তৈরির পর সেটা থেকে কীভাবে টাকা রোজগার করবেন সে বিষয় সিদ্ধান্ত নিন ও সেই মতো বিজ্ঞাপন প্রোগ্রামে সাইন আপ করুন। অর্থাত্ আপনা ব্লগে বিজ্ঞাপনদাতারা বিজ্ঞাপন দেবেন, বিনিময় আপনি টাকা পাবেন। আয় নির্ভর করে আপনার ব্লগের ট্রাফিকের ওপর। ব্লগ থেকে আয় থেকে বিস্তারিত জানতে এইখানে ক্লিক করুন। নিয়মিত লিখতে থাকুন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিন আপনার লেখা, ধীরে ধীরে পাঠক বাড়বে। আর পাঠক বাড়লেই বিজ্ঞাপন থেকে বেশি আয় হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট
সামাজিক মাধ্যমের জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন কোম্পানি গ্রাহকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন ও বিজ্ঞাপনের জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার ওপর নির্ভর করছে। আর এই কাজের জন্য তাদের প্রয়োজন হয় সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ের কাজ জানা দক্ষ কর্মী।
অনেক ক্ষেত্রেই সর্বক্ষণের কর্মী নিয়োগ না করে এই কাজের জন্য বাইরের সংস্থা বা কর্মীর ওপর নির্ভর করে কোম্পানিগুলি। তাই আপনি যদি এই কাজে যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে পারেন তাহলে ঘরে বসে ব্যবসা করেই আপনি রোজগার করতে পারবেন।
ওয়েব ডিজাইনিং
ইন্টারনেটের প্রসারে সাথে সাথেই বাড়ছে ডোমেন আর হোস্টিং পরিষেবার চাহিদা। বর্তমানে ছোট বড় প্রায় সব কোম্পানির জন্যই অনলাইন উপস্থিতি প্রায় বাধ্যতামূলক। প্রত্যেককে তৈরি করতে হয় নিজের ওয়েবসাইট। ওয়েবসাইট তৈরি থেকে ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রতিটি ক্ষেত্রেই কোম্পানিরা সাধারণত নির্ভর করে বাইরের সংস্থার ওপর। খুব সহজেই এই কাজ শিখে নিয়ে অল্প পুঁজিতে শুরু করুন এই ব্যবসা।
অনুবাদ (Translation)
মিডিয়া ও বিনোদনের দুনিয়া থেকে সরকারী নথি, অনুবাদকের প্রয়োজন সর্বত্র। আপনার যদি অন্ততঃ দুটি ভাষায় প্রয়োজনীয় দক্ষতা থাকে তাহলে পেতে পারেন এই কাজ। পাশাপাশিই আরও অন্যান্য ভাষার অনুবাদকদের যোগাযোগ করে যদি একটা দল তৈরি করে ফেলতে পারেন তাহলে এজেন্সিও খুলতে পারেন।ইন্টারনেটে ব্যবসার একটি সহজ উপায় অনুবাদ ও ইন্টারপ্রিটেশন। অনলাইনেই মিলবে হাল হদিশ। সঙ্গে অন্য কোনও বিদেশি ভাষা জানা থাকলে মিলতে পারে বাড়তি সুযোগ, তবে মনে রাখতে হবে বিশ্বের বিভিন্ন অনুবাদ সংস্থা সাধারণত তাদের দিয়েই অনুবাদ করাতে চায় যাদের মাতৃভাষার মতো দখল রয়েছে সেই ভাষায়। আপনি যদি কোনও বিদেশি ভাষায় অনুবাদ করতে চান, তাহলে সেই স্তরের দক্ষতা অর্জন করা জরুরি।
লেখা ও সম্পাদনা (Writing, Proofreading & Editing)
কোনও ভাষায় লেখার দক্ষতা থাকলে আরও যে অনলাইন ব্যবসা আপনি করতে পারেন তা হল লেখা ও সম্পাদনা।বিভিন্ন ওয়েবসাইটে নানা বিষয়ের ওপর রোজ শয়ে শয়ে প্রবন্ধ লেখা হয়। এই লেখার নির্দিষ্ট কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। সার্চ ইঞ্জিনে যাতে আপনার লেখা বা ওয়েবসাইট প্রথমের দিকে আসে তার জন্য আয়ত্ত্ব করতে হয় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কলা কৌশল। এছাড়াও আরও নানা ধরণের লেখালিখির কাজ পাওয়া সম্ভব অনলাইনে। পাওয়া যায় সম্পাদনা এবং প্রুফ রিডিংয়ের কাজও।
ইউটিউব চ্যানেল
অনলাইনে ব্যবসার আরও একটি সহজ উপায় হল ইউটিউব চ্যানেল, বিষয় হতে পারে যা খুশি। রান্না শেখানো থেকে বেড়ানো, গান থেকে দৈনন্দিনের টোটকা আপনার আগ্রহের যে কোনও বিষয় নিয়েই ইউটিউব চ্যানেল খুলতে পারেন আপনি।যদি যথেষ্ট সংখ্যক দর্শক আপনার চ্যানেল বা আপলোড করা ভিডিওগুলো দেখে তাহলে বিজ্ঞাপন বাবদ টাকা পাবেন আপনি। তবে ভিডিওর ভিয়্যু সংখ্য বাড়াতে আপনাকে হতে হবে নিয়মিত ও অভিনব। যাতে অন্যান্য চ্যানেল বাদ দিয়ে আপনার চ্যানেল দেখে দর্শক। ভিডিওর গুণমানের দিকেও বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন।
হস্তশিল্পের ব্যবসা
বাংলায় রয়েছে হস্তশিল্পের বিপুল সম্ভার। বিকনা আর দরিয়াপুরের ডোকরা, পিঙ্গলার পটচিত্র, নতুনগ্রামের পেঁচা, ঘুর্ণির মাটির পুতুল, কুচবিহারের শীতলপাটি. চড়িদার ছৌ মুখোশ রয়েছে হাজারো রকমের হস্তশিল্প। দেশ বিদেশের বাজারে চাহিদাও রয়েছে যথেষ্ট। নিজেদের দক্ষতা আর সৃজনীকে কাজে লাগিয়ে নানা নতুন ধরণের পণ্যও তৈরি করছেন এই সব গ্রামীণ শিল্পীরা। এই সমস্ত হস্তশিল্প নিয়ে অনলাইন বিজনেস করে নিয়মিত লাভ করা সম্ভব।অল্পটাকায় ব্যবসা শুরু করতে হলে নানা ধরণের হস্তশিল্পের সামগ্রী সংগ্রহ করুন শিল্পীদের থেকে। আপনি নিজের মতো ডিজাইন দিয়েও জিনিস বানিয়ে নিতে পারেন।
গয়না বানানোর ব্যবসা
হাতের কাজ ও শিল্পে দক্ষতা থাকলে অল্প পুঁজিতে অন্যতম লাভজনক ব্যবসা গয়না বিক্রি। নানা উপাদান জোগাড় করে আপনি নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন আধুনিক ও আকর্ষণীয় গয়না। প্রয়োজন সৃজনী ও উদ্ভাবনী। খুব কম খরচে লাভজনক ব্যবসা করা সম্ভব এই উপায়ে।গয়না বিক্রি করতে পারেন অনলাইনে। নিজের পরিচিতদের মধ্যেও বিক্রির মধ্যে দিয়ে শুরু করতে পারেন আপনার ব্যবসা। অংশগ্রহণ করতে পারেন বিভিন্ন মেলা ও প্রদর্শনীতে। সাধারণের আয়ত্ত্বের মধ্যে দাম ও আকর্ষণীয় ডিজাইন রাখলে বিক্রি হবে দ্রুত।
Ifrad
Intern(Content Writer)
YSSE