অ্যাপল সাইডার ভিনেগার বহুল পরিচিত এবং বিভিন্ন সমস্যার ঘরোয়া উপায় হিসেবে ব্যবহৃত। স্বাস্থ্যসম্মত ডায়েট কিংবা ওয়েটলোস ডায়েটে কমন একটি আইটেম হচ্ছে অ্যাপল সাইডার ভিনেগার। এর কিছু উপকারিতা আছে। যেমন:
• অ্যাপল সাইডার ভিনেগার খেলে খাবার হজমে সুবিধা হয়।
• ওজন কমাতে ভাল ভূমিকা পালন করে।
• কোলেস্টেরল লেভেল ঠিক রাখে।
• ক্যান্সারের কোষ বৃদ্ধি লোপ পায়।
তাছাড়া খাবার তাজা ও সংরক্ষিত করা, স্কিন কেয়ার করা, চুলের খুশকি রোধ করা ইত্যাদি বিভিন্ন কাজেও ভিনেগারে ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু ভিনেগার ব্যবহারের কিছু উপকারিতা আছে আবার, কিছু অপকারিতাও আছে।
অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ব্যবহারে কি কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে?
• দাঁত ক্ষয় বা নষ্ট হওয়া
আমরা জানি, দাঁত অনেক সেন্সিটিভ। প্রতিদিন ভিনেগার গ্রহণের ফলে দাঁতের এনামেল ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়ে যায়। এভাবে দাঁত নষ্ট হয়ে যায়। তাতে টক জাতীয় খাবার কিংবা ঠাণ্ডা কিছু খেলে দাঁত শিরশির করে।
• সুগার লেভেল কমে যাওয়া
যাদের ডায়াবেটিক আছে তারা কনট্রোলে রাখার জন্য ঔষধ খায় আবার ইন্সুলিনও নেয়। অ্যাপল সাইডার ভিনেগারও সুগার লেভেল বাড়তে দেয়া থেকে রোধ করে। ফলে, দুটো একসাথে খেলে সুগার লেভেল অতিরিক্ত কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
• স্কিন পুড়ে যাওয়া
অনেকে স্কিন কেয়ারের জন্য বিভিন্নভাবে ভিনেগারের ব্যবহার করে থাকে। টোনার বানিয়ে কিংবা কোন প্যাকের সাথে মিশিয়ে। কিন্তু, এটি ক্ষতিকর হতে পারে কারণ, ভিনেগার (৫-৬%) অ্যাসিটিক হয়। যার ফলে স্কিনে সরাসরি লাগালে পুড়েও যেতে পারে বা জালাপোড়া করতে পারে।
• শরীরে পটাশিয়াম লেভেল কমে যায়
অতিরিক্ত ভিনেগার খেলে শারীরিক দুর্বলতা এবং শ্রান্তি কাজ করে। আবার কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। পেশীতে ব্যথা অনুভব হয়।
• পেটে সমস্যা দেখা যায়; বিশেষ করে যাদের গ্যাস্ট্রোপ্যারেসিস আছে
গ্যাস্ট্রোপ্যারেসিস এর লক্ষণ হচ্ছে পেটের স্ফীতি, হাইপোগ্লাইসিমিয়া, বমি হওয়া বা বমি ভাব, পেট ব্যথা। এক্ষেত্রে ভিনেগার খেলে হিতের বিপরীত কাজ করে। খাবার হজমে সমস্যা হয়।
• খাদ্যনালী জালাপোড়া করা।
যেহেতু এটি অ্যাসিটিক, ভিনেগার সরাসরি খেলে অর্থাৎ পানিতে মিশিয়ে না খেলে খাদ্যনালীতে জালাপোড়া হয়। ব্যথা কিংবা অনেক সময় ফুলেও যেতে পারে।
অ্যাপল সাইডার ভিনেগারে ব্যবহারে কিছুটা সাবধানতা মেনে চললে সমস্যা হয় না। যেমন: সরাসরি স্কিনে না লাগানো, খাওয়া ক্ষেত্রে পানিতে মিশিয়ে নেওয়া, অন্য কোন ঔষধ সেবন করলে ভিনেগার খাওয়া যাবে নাকি এ বিষয়ে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা। কিছু পন্থা যা ভিনেগারের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে রোধ করবে।
প্রতিটা জিনিসের ভাল এবং খারাপ দিক থাকে। প্রথমে সবকিছু বিবেচনা করে অর্থাৎ সুবিধা-অসুবিধা কি কি আছে জেনে ব্যবহার করলে কোন সমস্যা হয় না। আর, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এসব বিষয় খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি।
মাছুমা আক্তার সেতু
ইন্টার্ন অফ কন্টেন্ট রাইটিং ডিপার্টমেন্ট
ওয়াইএসএসই।