ওয়েব ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ আলোচিত এবং সম্ভাবনাময় পেশা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং যা মূলত একটি কমিশন বেইসড বিজনেস ফর্মুলা। একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে সাধারণত অন্য কোনো কোম্পানির প্রোডাক্ট কিংবা সার্ভিস বিক্রি করার মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন উপার্জন করা হয়ে থাকে। যেমন আপনি যদি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম আমাজনের বিভিন্ন প্রোডাক্টের প্রমোশন করে থাকেন এবং তাদের বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় করতে সক্ষম হন তবে সেই বিক্রিত পণ্যের একটা নির্দিষ্ট পার্সেন্টেজ আমাজন আপনাকে প্রদান করবে, সেক্ষেত্রে বলা যায় যে, আমাজনের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে প্রোডাক্ট সেলের একটা কমিশন পাচ্ছেন আপনি। এটাই মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং যেখানে কোনো একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির নির্দিষ্ট কিছু প্রোডাক্ট প্রমোশন করা হয় এবং তা বিক্রয়ের জন্য একটি নির্দিষ্ট কমিশন মার্কেটার পেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে অবশ্য আপনার আগ্রহ ও সময়োপযোগী পণ্যের অফার প্রমোট করতে পারলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ বেশ সফল একটি ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব।
একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে বেশ সফল একটি ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় বিনিয়োগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কেননা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি মাল্টি বিলিয়ন ইন্ডাস্ট্রি যেখানে প্রতিনিয়ত প্রতিযোগিতা ও প্রযুক্তির আপডেট উভয় মিলে এক বিশাল চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি হয়। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে সময়ের সদ্ব্যবহারের পাশাপাশি বেশ কিছু বিশেষ কৌশল অবলম্বন করতে হবে, নিত্যনতুন কৌশল বের করতে হবে অফার প্রমোট করার জন্য। এক্ষেত্রে একদিকে আপনার বিজনেসে আপ টু ডেট থাকতে হবে, আবার অন্যদিকে আপনার টার্গেট অডিয়েন্স ঠিক করতে হবে। তবে কেবলই শ্রমের বিনিয়োগে কিংবা কৌশল অবলম্বন করলেই সফল হওয়া সম্ভব তা নয়। একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগের অভাবেও অনেক ক্ষেত্রে সফলতা আসতে বিলম্ব হতে পারে।
মূলত একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে হলে বেশ কিছু বিষয়ে পারদর্শীতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরী। প্রথমেই নির্বাচন করে নিতে হবে কি-ওয়ার্ড এবং নিশ। তার পাশাপাশি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বা এসইও, ওয়েবসাইট ম্যানেজমেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, গুগোল এডওয়ার্ডস, লিঙ্কবিল্ডিং, ট্রাফিক জেনারেশন, কন্টেন্ট অপটিমাইজেশন ইত্যাদিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এফিলিয়েট মার্কেটিং মূলত একটি স্বতন্ত্র পেশা যেখানে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ থাকে এমনকি অনলাইনের অন্যান্য কাজের ন্যায় এফিলিয়েট মার্কেটিং এ বিড করার প্রয়োজন পড়ে না। মূলত একটি অ্যাফিলিয়েট সাইট দিয়ে বিভিন্ন পদ্ধতিতে একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার ইনকাম জেনারেট করতে পারেন এমনকি একটি এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করাও সম্ভব। এমনকি এই প্যাসিভ ইনকাম লাইফটাইম সাপোর্ট দিয়ে থাকে। তবে ফ্রিল্যান্সিং এর শুরুর দিকে সাধারণত এই পেশায় কেউ বিনিয়োগ করতে চায় না যার জন্য শুরুতেই এই সেক্টরে বেশ ভালো একটি ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে কিছুটা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। সমূহ সম্ভাবনাময় একটি ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হলেও ইন্ডাস্ট্রিতে রিস্ক নেওয়ার দৃষ্টান্ত খুবই কম যার জন্য খুব কম মানুষই এই সেক্টরে সফলতার সঙ্গে টিকে থাকতে পারে। তবে শত প্রতিকূলতা জয় করেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ভবিষ্যতের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ইন্ডাস্ট্রি গুলোর মধ্যে অন্যতম।
SYEDA FAIRUZ NOSHIN
Content Writing Intern
YSSE
ফেসবুক মার্কেটিংয়ে প্রধান ৫ টি চ্যালেঞ্জ …
MNC এ সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার গঠনে ফয়সাল মাহমুদ স্যারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ