বঙ্গবন্ধু ট্রাই টাওয়ার বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিল্ডিং গুলোর মধ্যে একটি হতে যাচ্ছে যা এ দেশের ইতিহাসে আনতে পারে একটি নতুন মোড়।
মূলত এতে থাকবে ৭১ তলা বিশিষ্ট একটি বিল্ডিং যার নাম Liberation Tower; যেটি মূলত আমাদের একাত্তরের যুদ্ধকে তুলে ধরবে। এছাড়া এখানে আরো থাকবে ৫২ তলা বিশিষ্ট Language Tower এবং এর পুরো কাজটিই সম্পন্ন হচ্ছে পূর্বাচলে। আনুষ্ঠানিকভাবে এর কর্মকাণ্ড ১০শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ এ শুরু হয় যাতে যুক্ত আছে উত্তর কোরিয়ার আর্কিটেকচারাল ডিজাইনার।
এতে ব্যবহার করা হচ্ছে সোলার গ্লাস ও স্বয়ংক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি। যার ফলে শক্তির একটি বড় অংশই আসবে নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস থেকে।
কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ বিশ্বমানের Business District এর সাক্ষী হবে, যেটি ১১৪ একর জমির উপর চল্লিশ বা তদূর্ধ্ব তলা বিশিষ্ট ৪৯টি কমার্শিয়াল বিল্ডিং ঘিরেই অবস্থিত থাকবে। ড্রাফটের ডিজাইন অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ায় এটিই সবচেয়ে আকর্ষণীয় ও সর্বোচ্চ অবকাঠামো হতে যাচ্ছে। রাজউক এই প্রজেক্টের কাজের সাথে জড়িত আছে এবং জানিয়েছে এই প্রজেক্টে প্রয়োজন পরবে মোটামোটি ৯৬,০০০ কোটি টাকার।
এতে আরও থাকছে একটি লেক, একটি স্টেডিয়াম, শপিং মল, এমিউজমেন্ট পার্ক, পাঁচ তারকা বিশিষ্ট হোটেল এবং কর্পোরেট অফিস।
সর্বোচ্চ বিল্ডিংটি হবে ১১১ তলা বিশিষ্ট ও ৪৭৩ মিটার উঁচু, যার নাম Legacy Tower। এর ৯৬ তলায় একটি মিউজিয়াম থাকবে বলে জানা গেছে যেটি ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায়নকে তুলে ধরবে। মূলত এই টাওয়ারটি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, ৭১ এর যুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন ও সেই সব শহিদদের স্মরণেই তৈরি করা হবে।
ইতোমধ্যেই ১১১ তলা বিশিষ্ট Legacy Tower এর পাইলিং এর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। এছাড়া এই টাওয়ারের ডিজাইনিং এর কাজ সম্পাদন হয়ে গিয়েছে এবং প্রজেক্ট ডিরেক্টরের কাছে এটি পৌঁছে গিয়েছে। এখন CAAB (Bangladesh Civil Aviation Authority) এর কাছ থেকে শুধু no-objection সার্টিফিকেট পাওয়া বাকি, যার কারণে এর কাজে কিছুটা দেরি হচ্ছে।
এছাড়া এই প্রজেক্টের ডকুমেন্টেশনের কাজ চলছে, অতি শীঘ্রই এর বিস্তারিত আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন CAAB চেয়ারম্যান। তবে এতে বিশ্বমানের যানবাহন চলাচল নিশ্চিত করাই অনেকটা কঠিন কাজ হয়ে পরবে বলে জানান CAAB চেয়ারম্যান।
এই প্রথম বারের মত বাংলাদেশ এমন বিশ্বমানের স্মার্ট সিটি বা বড় প্রজেক্টের অংশীদার হতে চলেছে যেটি আমাদের দেশকে আরও এক ধাপ সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আমাদের আরো অন্যান্য ব্লগ পড়তে ক্লিক করুন এখানে।
Writer
Nuzhat Naoshin
Content Writing Department
YSSE