বাংলাদেশের ই-কমার্স সাইট ইভ্যালিকে নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। অনেক সমালোচনার আওতায় এসেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি অনেক বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে লেনদেন করার ক্ষেত্রে। কিন্তু দমে যায়নি কাজের স্পৃহা। নতুন কাজের শুরুতে বাঁধা তো আসবেই। বিপত্তি কাটিয়ে উঠার জন্য গতকাল অংশীদার হিসেবে ইভ্যালির সাথে যুক্ত হয়েছে যমুনা গ্রুপ। প্রাথমিকভাবে ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করলেও ধাপে ধাপে সম্পূর্ণ ১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠানের মাঝে।যমুনা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম ইসলাম এবং পরিচালক মনিকা ইসলাম এই অংশীদারি চুক্তিকে বেশ ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন। তাদের ধারণা তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে ই-কমার্স এর কোনো বিকল্প নেই। এর মাধ্যমেই দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাবে। ইউএসএ তে আছে আমাজন, চায়নার আছে আলিবাবা। ঠিক তেমনি বাংলাদেশের একটি ইভ্যালি থাকলে অর্থনীতিতে কতটা অবদান রাখবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। যমুনা গ্রুপের আরেকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা শেখ ওয়াদুদ জানান, গত ৫০ বছর যাবৎ দেশের বিভিন্ন কল্যাণমূলক কাযে তাঁরা যেভাবে পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন, এবার মহামারিতে ইভ্যালির পাশে দাঁড়িয়ে অর্থনীতি সচল রাখার প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে চান।
খুব সাম্প্রতিক সময়েই গ্রাহকদের পণ্য সঠিক সময়ে ডেলিভারি করতে না পারার মতো আরো অনেক ধরণের অভিযোগ উঠেছে ইভ্যালির বিরুদ্ধে। বর্তমানে ইভ্যালির মোট দায় ৪০৪ কোটি টাকা(গ্রাহক ও মার্চেন্টদের কাছে যথাক্রমে ২১৪ ও ১৯০ কোটি টাকা)। কিন্তু এই অনলাইন মার্কেটপ্লেসের মোট সম্পত্তির পরিমাণ মাত্র ৯৫ কোটি টাকা আর তরল মূলধন মাত্র ৬৫ কোটি টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। এত কম মূলধন এবং যাবতীয় অনিয়ম করার কারণ আদালতে জানানোর জন্য আদেশ করা হয়েছে। উক্ত আইনি নোটিশে আরও উল্লেখ ছিল যে-ইভ্যালিকে তাদের ব্যবসা করার পদ্ধতিসহ আর্থিক বিবরণীর বিস্তারিত আগামী ১লা আগষ্টের মধ্যে কোর্টে সমর্পণ করতে হবে।
ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রাসেল তাদের ক্রয় আদেশ বা অগ্রিম টাকা প্রদান সাপেক্ষে যেই অর্ডারগুলো রয়েছে সেগুলোর ডেলিভারি খুব দ্রুত সম্পন্ন করার আশ্বাস দিয়েছেন। চলতি সমস্যাগুলো সততার সাথে সমাধান করার উদ্দেশ্যেই যমুনা গ্রুপের সাথে যুক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে ইভ্যালির কত শতাংশ মালিকানা উক্ত প্রতিষ্ঠানটি পেতে চলেছে তা এখনো সঠিকভাবে জানানো যাবে না বলেছেন মোহাম্মদ রাসেল।প্রতিকূল পরিস্থিতে অনেক নেতিবাচক সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে ইভ্যালিকে। তবে এত সহজে হাল ছেড়ে না দিয়ে অনেকদিন আগে থেকেই উপযুক্ত অংশীদার খুঁজছিলেন এই প্রতিষ্ঠানের এমডি। অতঃপর বন্ধুসুলভ যমুনা গ্রুপকে আনুষ্ঠানিকভাবে পাশে পেয়ে গেলেন গতকালই। অফলাইন মার্কেটপ্লেস যমুনা ফিউচার পার্কের মতোই একদিন সুখ্যাতি অর্জন করবে অনলাইন মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি।
সায়মা আক্তার শান্তা
ইন্টার্ন, কন্টেন্ট রাইটিং ডিপার্টমেন্ট
YSSE
আরও পড়তে ক্লিক করুন