যখন আপনি অন-লাইনে একটি ছোট ব্যবসা শুরু করতে যাবেন, তখন আপনি কতগুলো পরীক্ষিত খাপ অনুসরণ করলে আপনার সাফল্য নিশ্চিত করতে পারবেন। আমি হাজার হাজার লোককে দেখেছি একটি ব্যবসা শুরু করতে এবং তা সফলভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে উল্লেখিত পদক্ষেপগুলো নিয়ে:
১। কোন একটা প্রয়োজনীয়তা খুজে বের করা এবং তা পূর্ন করা।
২। একটি প্রচারণা-মুলক প্রবন্ধ লিখুন যা গ্রাহকদের আকুষ্ট করবে।
৩। একটি ওয়েবসাই তৈরী করুন যা সহজেই কেউ ব্যবহার করতে পারবে।
৪। আপনার সাইটে বিপুল পরিমাণ তথ্য সঞ্চালণ করার জন্য সার্ব-ইঞ্জিন ব্যবহার করণ।
৫। আপনার নিজের জন্য একটি জোড়ালো জনপ্রিয়তা তৈরী করুন।
৬। আপনার গ্রাহক ও সাবস্কাইবারদের সাথে মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখুন।
৭। আপনারা ব্যাক-সেলিং এবং আপ- সেলিং- এর মাধ্যমে আপনাদের উপার্যন বৃদ্ধি করুন।
যেকোন অনুভিজ্ঞ লোক থেকে শুরু করে দক্ষ অন-লাইন ব্যবসায়ী অবশ্যাই এই প্রবন্ধটি কিভাবে অন-লাইন ব্যবসা শুরু করবেন এর থেকে উপকৃত হবেন।
ধাপ:-১।
একটি প্রয়োজন খুজে বের করুন এবং তা পুরন করা চেষ্ট করুন। শুরুতেই অধিকাংশ লোক একটি ভুল করে থাকেন সেটা হল প্রথমে পন্য খোঁচ তারপর সেটার বাজার খোঁচ। সাফল্যে সম্ভবনা বৃদ্ধি করার জন্য প্রথমে বাজার লক্ষ করে কাজ শুরু করার চিত্র। মুল যার কোন কাজের একটি একাধিক ফল নয় বরং সমস্যার সমাধান খুঁচছেন ইন্টারনেট এরূপ মার্কেট গবেষনা সহ করে দেয়।
অন-লাইন ফোরামে যোগ দিন, দেখার জন্য যে কী ধরনের প্রশ্ন মানুষ জিঞ্জ্যাস করে এবং কী সমস্যা সমাধঅন তারা কুজছে।
মৌলিক শব্দের (কিওয়ার্ডের) গবেষণা করুন যা অনেকেই খুজছে কিন্তু খুব কম ওয়েব সাইট তার জন্য প্রতিযোগীতা করে।
আপনার যোগ্য প্রতিযোগীতা খুঁজে বের করুন তাদের ওয়েব-সাইট থেকে এবং নোট করুন তারা ক্রেতাদের চাহিদা পুরণের জন্য কি কি করছে। তখন আপনি আপনার জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে একটি পন্য তৈরী করতে পারবেন য বাজারে আচে এক্ষেত্রে আপনি প্রতিযোগীদের চেয়ে বেশি সাফল্য লাভ করবেন।
ধাপ:-২।
একটি প্রচারণামূলক প্রবন্ধ লিখূন যা গ্রাহকদের আকৃষ্ট করে।
একটি প্রসিন্ধ বিক্রয় ফর্মূলা রয়েছে যা ক্রেতাদের আগমনের শুরু থেকে ক্রয় করা পর্যন্ত ধরে রাখে।
(ক) একটি আকর্শনীয় শিরোনাম দিয়ে ক্রেতাদের দৃষ্টি আগ্রোহ জাগানো।
(খ) আপনার পন্য যেই সমস্যাটি সমাধান করে তা বর্ননা কর।
(গ) সমস্যাটি সমাধান হিসেবে আপনার বিশ্বস্ততা বর্ণণা করণ।
(ঘ) যারা আপনার পন্য ব্যবহার করেছে তাদের স্বীকাক্তি দিন।
(ঙ) পণ্য ও এর সুবিধাগুলো ব্যবহারকারীকে যানান।
(চ) পন্যটি সুলভ মূল্যে বাজারে ছাড়–ন।
(ছ) একটি মজবুত প্রতিশ্রুতি দিন।
(জ) পদ্ধতিটি দ্রুত করুন।
(ঝ) পণ্যের দামে ছাড় দিন।
আপনার প্রবন্ধটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনাকে বিশেষভাবে উল্লেখ্য করতে হবে যা আপনার পণ্য বা সার্ভিস কিভাবে মানুষেল সমস্যা সমাধান করবে বা তাদের জীবন উন্নত করছে।
একজন গ্রাহকের মত চিন্তা করুন এবং নিজেকে জিঙ্গাস করুন- এটা আমার কি কাজে আসবে।
ধাপ:-৩।
একটি ওয়েব-সাইট তৈরী করুন।
যথন আপনি আপনার বাজার এবং পন্য পেয়ে গেছেন আপনি আপনার বিক্রয় পদ্ধতি চালু করে ফেলেছেন তখন আপনি একটি ওয়েব ডিজাইন করার জন্য
প্রস্তুত । মনে রাখবেন এটা যেন সহজেই ব্যবহার যোগ্য হয়। ক্রেতার মনযোগ আকর্শনের জন্য আপনার হাতে পাঁচ সেকেন্ডের কম সময় রয়েছে নতুবা তাদের হারাবেন আর কখন ও খুঁজে পাবেন না। মনে রাখার মতো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ন টিপস্।
সাদা ব্যাকগ্রাইন্ডে, একটি অথবা দুটি স্বাভাবিক ফন্ট বেছে নিন।
আপনার ব্যবসায়িক লক্ষটি প্রাজ্ঞল এবং গ্নষ্ট রাখুন, পুরোটি যেন একটি পেইজে উপস্থাপিত হয়।
ব্যবসায়ে অংশীদার হবার মতন কিছু অফার ছাড়–ন যেন আপনি ক্রেতাদের ই-মেইল এড্রেস সংগ্রহ করতে পারেন।
ক্রয় পদ্ধতিটি সহজ করুন-দুইটি ক্লিকের বেশি যেন কোন গ্রাহককের ব্যবসায়ে প্রবেশ করতে বা ছাড়তে প্রয়োজন না হয়।
আপনার ওয়েবসাইট আপনার অন-লাইন ছোট ফ্রন্ট যেটা হতে হবে গ্রাহক-বান্ধব।
ধাপ:-৪
সার্চ-ইঞ্জিন ব্যবহার করে নির্দিষ্ট ক্রেতাদের আপনার সাইটমুখী করুন।
পে পার ক্লিক বিজ্ঞপ্তি-হচ্ছে একটি অত্যাধুনিক নতুন সাইটে অধিক তথ্য পাঠানোর সবচেয়ে সহজ উপায়। স্বাভাবিকভাভে তথ্য পাঠানোর চেয়ে এই পদ্ধতিটি দুই দিক দিয়ে সুবিধা জনক। প্রথমত পিপিসি সার্চ পেইজে সাথে সাথে দেখঅনো হয় দ্বীতিয়ত পিপিসি বিভিন্ন হয় দ্বীতিয়ত পিপিসি বিভিন্ন ধরনের শিরোনাম মুল্য, বিক্রয় পদ্ধতি ও নানান কিওয়ার্ড পরীক্ষা করতে সাহায্য করে। আপনি শূধু শ্রীঘ্রই তথ্যই লাভ করেন না বরং আপনি পিপিস বিজ্ঞপ্তি ব্যবহার করে সর্ব-উত্তম ও সর্বোচ্চ কর্যকরী কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে পারেন। তারপর আপনি সেই কিওয়ার্ডগুলো আপনার ওয়েবসাইটের প্রবন্ধে ও কোডে ব্যবহার করতে পারেন যা আপনাকে স্বাবাভিক ভাবে খোচার কাজে সাহয্য করবে।
ধাপ:-৫।
আপনার নিজের জন্য একটি জোড়ালো জনপ্রিয়তা তৈরী করুন।
মানুষ ইন্টার্নেটের সাহায্য তথ্য খুঁজে বের করে। সেই তথ্যগুলো আপনি বিনামূল্যে অন্যান্য ওয়েবসাইটে দিলে, আপনার ওয়েবসাইটে আরো সহজেই তথ্য আসবে এবং আপনি আরো ভালো সার্চ ইঞ্জিনের পরিচয় লাভ করবেন। এর গোপন রহস্য হল প্রতিটি ছোট ছোট তথ্যের সাথে তার ওয়েব সাইটের ঠিকানা দিয়ে দেয়া।
বিনামূল্যে অভিজ্ঞ লোকের মতামত দিন। প্রবন্ধ, ভিডিও ও অন্যান্য বিষয়বস্তু তৈরী করুন যা লোকের কাজে আসবে। সেই প্রবন্ধগুলি অন-লাইন সাময়ীকি বা সামাজিক মাধ্যমে ওয়েব সাইটগুলোর মাধ্যমে প্রচার করুন।
”একটি বন্ধুকে পাঠান”- ওপশনটি রাখুন আপনার ওয়েবসাইটের মূল্যবান তথ্যের সাথে।
একজন সক্রিয় ,দক্ষ ব্যাক্তি হিসেবে অংশ গ্রহণ করুন বিভিন্ন ফোরামে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেগুলোতে।
ধাপ:- ৬
ইমেল মার্কেটিং এর সাহায্য আপনার গ্রাহকদের ক্রেতাতে পরিনত করুন।
যখন আপনি একটি গ্রহনযোগ্য তালিকা তৈরী করছেন আপনি আপনার অন-লাইন বিজনেস-এর সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ তৈরি করে ফেলেছেন। আপনারা ক্রেতা ও সাবস্ক্রাইবরা, তাদেরকে ইমেইল পাঠানোর অনুমতি দিয়ে
অর্থাৎঃ-
১। আপনি তাদের এমন কিছু দিচ্ছেন যা তারা চাচ্ছে।
২। আপনি তাদের সাথে আজীবনের সম্পর্ক তৈরি করবেন।
৩। তাদের প্রতিক্রিয়া শতভাগ মাপাযায়
৪। ইমেইল মার্কেটিং প্রিন্টি, টিভি ও রেডিও সাহায্যে মার্কেটিং এর চেয়ে বিশি কার্যকর।
যদি কোন গ্রহক আপনার ওয়েবসাইট খুলে দেখে এবং আপনার তালিকা দেখে তাহলে এটা ব্যাবসা শুরু করার একটি ভাল পদ্ধতি। এই ব্যবসায়ী
পদ্ধতি চালু রাখার জন্য ইমেইলের আর কোন ভাল উপায় নেই।
ধাপ:-৭।
আপনারা ব্যাক-ইন্ড সেলিং ও আপ-সেলিং এর সাহায্যে আপনাদের আয় বৃদ্ধি করুন।
ইন্টার্নেট মার্কেটিং এর অন্যতম গুরুত্ত্বপূর্ন কৌশল হল প্রতিটি গ্রহকের সাথে আজীবনের বিশ্বস্ততা তৈরি করা। কমপক্ষে, ৩৫% ক্রেতা যারা আপনার কাছ থেকে একবার ক্রয় করেছে, আপনার কাছ থেকে দ্বীতিয়বার ক্রয় করবে যদি আপনি তাদের সাথে যোগাযোগদ রাখেন। প্রথম ক্রয়ে ছাড় হল সবচেয়ে কঠিন কাজ নিঃশ্বন্দেহে সবচেয়ে ব্যায়বহুল কাজ। অতএব, ব্যাক-ইন্ড সেলিং ও আপ-সেলিং পদ্ধতি ব্যবহার করুন।
অন্যান্য পণ্য যা আপনার আসল পণ্যর মূল্য বৃদ্ধি করবে।
ইলেকট্রনিক লয়ালটি কুপন দিন যা পরবর্তি সাক্ষৎ নিশ্চিত করবে।
আপনার ধন্যবাদ পেইজে অন্যান্য পণ্য যোগ করুন যখন তারা কোন কিছু ক্রয় করে।
আপনার ক্রেতাদের ভক্তি প্রকাশের জন্য তাদের পুরস্কৃত করুন তাতে ঘণিষ্টতা বাড়বে।
কাশফিয়া তাসদিম হুমায়রা