শরীর ভালো না থাকলে মন ভালো থাকে না আর মন ভালো না থাকলে প্রকৃত সুখ-শান্তি পাওয়া যায় না। আর চলাকালীন এই মহামারির সময়ে, সুস্থ থাকাটা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
আসুন জেনে নেই স্বাস্থ্য ভালো রাখার কয়েকটি সহজ টিপস:
১. আপনার স্ট্রোক প্রতিরোধে নিয়মিত চা খান। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, নিয়মিত চা খেলে আমাদের ধমনীর গাত্রে ফ্যাট জমতে পারে না। ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে আসে অনেকখানি।
২. আপনার শরীরকে অতিরিক্ত শুষ্কতা থেকে মুক্তি পেতে মধু, দুধ ও বেসনের পেষ্ট মুখে লাগান নিয়মিত। এতে করে আপনার ত্বকের বলিরেখা ও দূর হয়ে যাবে।
৩. আমাদের সকলের পরিচিত মধু নানাগুণের অধিকারী। আমাদের শরীরে অসাড়তা, গলাব্যথা, রক্তস্বল্পতা, অস্টিও-পোরেসিস, মানসিক চাপ, মাইগ্রেনসহ নানা শারীরিক সমস্যায় মধু বিশেষভাবে কার্যকর। তাই প্রতিদিন অন্তত ১ চামচ মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৪. আপনার যদি মাথাব্যাথার সমস্যা প্রবল আকার ধারণ করে তাহলে এই সমস্যা দূর করতে নিয়মিত প্রচুর মাছ খান। কেননা মাছের তেল মাথাব্যাথা প্রতিরোধে বিশেষ কার্যকরী ভুমিকা পালন করে থাকে। তাছাড়া আরও খেতে পারেন আদা। কেননা আদা প্রদাহ এবং ব্যথা নিরাময়ে বিশেষভাবে কার্যকর।
৫. আলসারের সমস্যায় বাঁধাকপি বিশেষভাবে উপযোগী। এতে থাকা খাদ্য উপাদান গ্যাস্ট্রিক এবং ডিওডেনাল আলসার হিল করতে সাহায্য করে। তাই আলসার ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় বাঁধাকপি সিদ্ধ করে খেতে পারেন।
৬. সময়ে-অসময়ে চুল পড়া আর পায়ের গোড়ালি ফেটে যাওয়া খুবই পরিচিস সমস্যা। লকডাউনে আপনার চুল পড়া বন্ধ করতে নিয়মিত মাথায় আমলা, শিকাকাই যুক্ত তেল লাগাতে পারেন। আর পায়ের গোড়ালি খুব বেশি ফাটলে পেঁয়াজ বেটে প্রলেপ দিন ফাটা জায়গায়। একটা সময় গোড়ালি ফাটা বন্ধ হয়ে যাবে।
৭. খাবারের তালিকায় যথেষ্ট পরিমাণে আঁশযুক্ত শষ্যদানা রাখুন৷ বিশেষ করে সকালের নাস্তায় সিরিয়ালের সাথে বিভিন্ন শষ্যদানা, গম, ভুট্টা, ফল এবং দই থাকতে পারে৷ এতে ঝটপট পেট ভরে এবং পেট পরিষ্কারও থাকে, অর্থাৎ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে৷ তবে ফল মানেই আপেল, আঙুর নয়৷ বরং যখন যে ফল পাওয়া যায়, মানে মৌসুমি ফল খান৷ এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে৷
৮. রান্নায় যতটা সম্ভব কম তেল ব্যবহার করুন৷ আর যদি সম্ভব হয় সরাসরি উদ্ভিজ্জ তেল ব্যবহার করাই ভালো৷ উদ্ভিজ্জ খাদ্যে যেমন অল্প পরিমাণে ক্যালোরি থাকে, তেমনি অন্যদিকে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ আর ফাইবার৷ এশীয় রান্নাঘরে আদা, রসুন, পেঁয়াজের ব্যবহার এমনিতেই রয়েছে৷ এই পেঁয়াজ, রসুন, ক্যানসার রোধে সহায়ক৷ আর আদা ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে পেট পরিষ্কার রাখে৷
৯. মানুষের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য প্রয়োজন শর্করা এবং গ্লুকোজ৷ এটা থাকে বিভিন্ন ফল, রুটি, মিষ্টি আলু, নুডলস, মাছ-মাংস, কাঠবাদাম প্রভৃতিতে৷ তাই অল্প পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের বাদাম নিয়মিত খাওয়া জরুরি৷ এতে শরীরের প্রয়োজনীয় মৌলিক উপাদানগুলি যেমন আছে, তেমনি এটাও দেখা গেছে যে, সপ্তাহে দুই বা তিনদিন বিভিন্ন রকমের বাদাম খেলে হৃদরোগ থেকে ও দূরে থাকা সম্ভব৷ ডিমের কুসুমও মস্তিষ্কের জন্য উপকারী৷
১০. সকালে চায়ের বদলে আয়ুর্বেদিক ক্বাথ খেতে পারেন। তুলসি, পিপলি, আদা ও মধু দিয়ে অথবা তুলসি, আদার সঙ্গে গোলমরিচ, দারচিনি, কিশমিশ, মধু ও লেবুর রস দিয়ে বানাতে পারেন এই ক্বাথ। নিয়মিত খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন বাড়বে, বাড়বে হজমশক্তি। গলাতেও আরাম হবে।
তীর্থ বড়ুয়া
ইন্টার্ন / ওয়াইএসএসই