করোনাভাইরাসের কারণে পৃথিবী স্থবির হয়ে আছে। আপাতদৃষ্টিতে পৃথিবীকে স্থবির মনে হলেও সময় থেমে নেই। একজন উদ্যোক্তা কখনো থেমে থাকে না। এই করোনার সময়ে আপনিও ব্যবসায়ে কিছু পরিবর্তন আনতে পারেন, করতে পারেন নতুন কিছু কাজ।
ব্যবসার যে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস তা এইসময়ে ডেলিভারি বা প্রডিউসে সমস্যা হতেই পারে। একটু অন্যভাবে চিন্তা করতে পারেন। যা এই মহামারীর সাথে প্রাসঙ্গিক। যেমন, ধরা যাক আপনি একজন সোশ্যাল অন্ট্রেপ্রেনার মানে সামাজিক উদ্যোক্তা। গ্রামীণ নারীদের স্বাবলম্বী করে তুলতে কাজ করছেন। হয়ত এতদিন আপনি নকশী কাঁথা বা শোপিস বা এজাতীয় পণ্য উৎপাদন করতেন। যা এখন করা সম্ভব নয়। বা করলেও ক্রেতা পাওয়া যাবে না। সেক্ষেত্রে নারীদের অন্যকোনো বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে পারেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং সুরক্ষা সরঞ্জাম নিয়েই কাজগুলো করবেন। এতে অন্তত করোনা পরবর্তী সময়ে দ্রুত কাজ শুরু করা যাবে।
একজন উদ্যোক্তা মানেই একজন সামাজিক কর্মী, তা তিনি যে ক্ষেত্রেই ব্যবসা করুন না কেন, সমাজের প্রতি তার কিছু দায়িত্ব আছে। এইসময়ে অভাবী দুস্থদের সাহায্যের জন্য ইভেন্ট ক্রিয়েট করতে পারেন। নিজের ফান্ড থেকেই করতে হবে এমন নয়, অন্যদের সাহায্য পৌঁছে দিতে পারেন আপনার ভলান্টিয়ারদের মাধ্যমে। এতে দায়িত্ব পালন যেমন হবে তেমনি আপনার বিজনেস মার্কেটিং ও হয়ে যাবে।
ক্লায়েন্টদের সাথে যথাসম্ভব যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করুন। হ্যাঁ, এটি সত্যি যে এইসময়ে তাদের জন্য এখন কিছুই করার নেই। তবু আপনার যারা রেগুলার অডিয়েন্স, এমনকি যারা অকেশনাল অডিয়েন্স, তারা আসলে কোন শ্রেণির মানুষ তা ভেবে দেখুন। এই সময়ে তাদের কি কোনো বিশেষ চাহিদা আছে যা আপনি পূরণ করতে সক্ষম? হতে পারে তা নতুন কোনো প্রোডাক্ট বা সার্ভিস। সুরক্ষা পণ্যসহ বেশকিছু পণ্যের চাহিদা এখন বেড়ে গেছে। এই সংক্রান্ত আরো লেখা পাবেন ysse blog এ)
বিজনেস মডেলের দিকে তাকান। ভবিষ্যতে পণ্যের চাহিদা ও দাম দুটারই অনেক পরিবর্তন হতে পারে। আপনার ব্যবসায়ে কী কী প্রভাব পড়তে পারে তা এখনই ভাবুন। সহকর্মীদের সাথে ভার্চুয়াল মিটিং করতে পারেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সক্রিয় থাকতে পারেন। কাস্টমারদের সাথে সংযুক্ত থাকার ভালো উপায়। সচেতনতা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারেন।
মাহরাতুন সামহা
ইন্টার্ন ysse