অনেক উদ্যোক্তাই গ্রাহক আকর্ষণের জন্য তার পিছনে লেগে থাকেন। তারা নিজেদের মানের তুলনায় খরচ কমানোতেই বেশী সময় ব্যয় করেন।প্রতিটি ব্যবসায়িক উদ্যোগের পিছনে দুটি জ্বালানী থাকতে হয়। একটি অর্থ ও অপরটি সময়। প্রত্যেক উদ্যোক্তাকেই এই দুটি বেশ দক্ষতার সাথে ব্যবস্থাপনা করতে হয়।
প্রতিটি সিদ্ধান্তই মাইনে রাখে। উদ্যোক্তা হিসেবে আপনাকে প্রতিনিয়ত উপস্থিত বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আর শুরুতে অনেক ছোট ছোট বিষয়ও এতোটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে যে ভুল হলে তার পরিণাম মারাত্মক হয়। সুতরাং যতোক্ষণ পর্যন্ত না অর্থের সুপ্রবাহ শুরু হচ্ছে ততোক্ষণ বিনিয়োগের পরিমান নিয়ে প্রতিটি মূহূর্তে সতর্ক থাকতে হবে। উদ্যোক্তাকে এসময় তিনটি চাবিকাঠি হাতে রাখতে হবে। সেগুলো হলো:
১) অগ্রাধিকার
স্টার্ট আপ শুরু করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টন টন কাজের লোড নেওয়ার অগ্রাধিকার কোনটা পাবে সেটি বিবেচনার সময় উদ্যোক্তারা অনেকেই বিচলিত হয়ে যান। সুকৌশলে সবচেয়ে বেশী প্রভাব ফেলে এমন কাজটি বেছে নিয়ে আগে করতে পারলেই উদ্যোক্তারা সফলতার মুখ দেখতে পারবেন।
২) কাজ বন্টন
স্টার্ট আপের প্রথম ধাপে সব কাজই সর্বনিম্ন সময়ে করাতে হয়। একজন উদ্যোক্তার একার পক্ষে সব্যসাচী হওয়া স্বত্ত্বেও এতোটা করা সম্ভব হয় না। সুতরাং অংশীদার কিংবা কর্মীদের মধ্যে কাজ ভাগ করে দেয়াই শ্রেয়। সেক্ষেত্রে প্রতিটি পক্ষকেই সমান তালে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে। উদ্যোক্তা হিসেবে আপনাকেই কাজের বিষয়বস্তু সমভাবে পদবী ও দায়িত্ব অনুযায়ী অর্পণ করতে হবে। প্রত্যেককে অবশ্যই ভাল পারফরমেন্স করতে হবে।
৩) দ্রত উপলব্ধি
প্রায়ই দেখা যায় যে স্টার্ট আপগুলো বিক্রয় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয় না। আপনি প্রশ্ন করতে পারেন এমনটা কেন হয়? কোন ভেজাল সিমেন্ট বা ইটের মিশ্রণে তৈরী দালান নিশ্চয়ই দীর্ঘদিন টিকবে না। তা সেখানে যতো টন রডই আপনি ব্যবহার করেন না কেন বিষয়টি উপলব্ধি করতে আপনার নিশ্চয়ই খুব বেশী দেরী হবার কথা নয়। কখনো কখনো অনেক ভাল পণ্যও বাজারে বিক্রির অভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে। কেননা সেটির সঠিক বাজার বিশ্লেষণ করা হয়নি। যতোক্ষণ পর্যন্ত না আপন পণ্য বা সেবার সঠিক ব্যবহার, বাজার, ক্রেতার ধারণা নিতে পারছেন ততোক্ষণ বাজারে পণ্য না ছাড়াই ভাল।
মোঃ আরিফুজ্জামান