আজকাল নেটওয়ার্কিং শব্দটির সঙ্গে সকলে পরিচিত।
ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে কর্পোরেট জীবন পর্যন্ত সবক্ষেত্রেই নেটওয়ার্কিং এর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমেই একে অন্যের সম্পর্কে জানা যায়, পরস্পর পরস্পরের প্রতিভা বিকাশের সুযোগ তৈরি হয়, সাহায্য-সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেয়া যায়। মূলত নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে একটি সাধারণ পেশা বা বিশেষ কোনো বিষয়ে আগ্রহী ব্যক্তিদের মধ্যে তথ্য এবং বিভিন্ন আইডিয়ার আদান-প্রদান করা যায় যা উক্ত নেটওয়ার্ক এর অন্তর্ভুক্ত সকলের জ্ঞানের প্রসার ঘটাতে সাহায্য করে পাশাপাশি প্রচুর দিকনির্দেশনা পাওয়ার পথ তৈরি করে দেয়। সেল্ফ ডেভেলপমেন্ট এবং সেল্ফ ব্রান্ডিং এর ক্ষেত্রে কর্পোরেট জগতে নেটওয়ার্কিং বজায় রাখা বেশ ফলপ্রসূ ।

কর্পোরেট নেটওয়ার্কিং
নেটওয়ার্কিং এর গুরুত্ব:
• সেল্ফ ব্র্যান্ডিং এর পথ তৈরি করে দেয়। নিজের পটেনশিয়াল, প্রতিভা এবং দক্ষতা তুলে ধরা যায়। স্ট্রং নেটওয়ার্কিং এর ফলে আপনি নিজেকে সকলের কাছে যোগ্য হিসেবে তুলে ধরতে পারবেন। যেমন ব্যবসার ক্ষেত্রে অথবা স্টার্ট আপ এর ক্ষেত্রে এমন স্ট্রং নেটওয়ার্কিং পরবর্তীতে আপনার ব্যবসায় পার্টনারশীপ এর পথ তৈরি করে দেয় যার ফলে বহু জনপ্রিয় প্রতিষ্ঠান এর সঙ্গে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি হয়।
• নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে মেন্টরশিপ অপরচুনিটি লাভ করা যায় যার দ্বারা বহু অসাধারণ প্রফেশনালদের কাছ থেকে মেনটরিং সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে দারুণ সব এক্সপেরিয়েন্স লাভ করা যায়। এছাড়া পর্যাপ্ত ট্রেনিং, কোচিং, গাইডলাইন প্রদান করা হয় যা আপনাকে মোটিভেটেট রাখতে সাহায্যও করবে এবং পরবর্তীতে আপনার চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে।
• নেটওয়ার্কিং, তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য বিভিন্ন অপরচুনিটির পথ তৈরি করে দেয় যা দ্বারা তাদের ইনোভেটিভ আইডিয়াগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের সুযোগ লাভ করে। এছাড়া বহু সফল উদ্যোক্তাদের অধীনে কাজ করার সুযোগ রয়েছে পাশপাশি নেটওয়ার্কিং এর কারণে তরুণ প্রজন্ম তাদের রোল মডেল বাছাই করতে পারে যা পরবর্তীতে তাদের প্যাশনকে আরো সমুন্নত রাখতে অবদান রাখে।
• নেটওয়ার্কিং এর কিছু সাধারণ আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই অনেক ক্ষেত্র বা বিশেষ বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করা যায় যা সৃজনশীলতা চর্চাকে অব্যাহত রাখে, “থিংক আউটসাইট অফ দা বক্স” এই নীতিতে বিশ্বাসী হতে উদ্বুদ্ধ করে পাশাপাশি নতুন নতুন উৎভাবনার দ্বার খুলে দেয়।
• নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে পাবলিক স্পিকিং, কমিনিকেশন স্কিল, টিমওয়ার্ক এন্ড কোলবরেশন, ক্রিটিকাল রিজেনিং ডেভলপ করা যায়। এছাড়া পজিটিভ মাইন্ডসেট এবং পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্ট এ দারুণ প্রভাব ফেলে। কর্পোরেট জগতে নেটওয়ার্কিং মেনটেইন এর ফলে ডাইভার্স ওয়ার্কফোর্স তৈরি এবং স্ট্যাবল ওয়ার্ক এনভাইরনমেন্ট বজায় রাখা যায়।
• এছাড়া লং টার্ম ক্যারিয়ার গ্রোথ অর্জন সম্ভব।
• বিভিন্ন হাই প্রোফাইল ব্যক্তিদের নিকট হতে খুব সহজেই রেকোমেন্ডেশন পাওয়া যায়।
Sabiha Jannat Rafa
Content writing Intern
YSSE
সূত্র: https://www.forbes.com/sites/biancamillercole/2019/03/20/why-networking-should-be-at-the-core-of-your-career/?sh=1a06b1061300
https://www.monster.co.uk/career-advice/article/what-is-networking-and-how-do-i-do-it