“অস্ট্রেলিয়া থেকে স্কলারশিপ ছাড়া স্নাতক পাশ করা যায় না” – কথাটা অবাক হবার মতন হলেও বাস্তব। স্নাতক সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় ফি $১০,০০০ থেকে শুরু হয়ে $৩০,০০০ পর্যন্ত হয়ে থাকে তাই স্কলারশিপ ছাড়া পড়াশোনা করা এক অর্থে অসম্ভব- ই বটে!
অস্ট্রেলিয়া সারা বিশ্বের আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি জনপ্রিয় গন্তব্য৷ নেতৃস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটিগুলো প্রথম কাতারে পরে। দেশটি সিডনি এবং মেলবোর্নসহ বিশ্বের সবচেয়ে বাসযোগ্য শহরগুলোতে বসবাস করে একটি আরামদায়ক, সাশ্রয়ী মূল্যের পরিবেশের মধ্যে অধ্যয়নের অভিজ্ঞতা দিতে পারে। একই সাথে একটি শক্তিশালী ক্যারিয়ার গড়ে তোলার প্রয়োজনীয় ফুয়েল সঞ্চয় করিয়ে দেয়! প্রকৃতপক্ষে, অস্ট্রেলিয়ান ইউনিভার্সিটিগুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব দানের দিক থেকে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। অনেক বাংলাদেশী শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়ায় শিক্ষার অতুলনীয় মান, উচ্চমানের জীবনযাত্রা, অধ্যয়ন-পরবর্তী কাজের সুযোগ, প্রতিশ্রুতিশীল ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা দেখে এগিয়ে যায়, তবে এতকিছুর মধ্যেও তাদের অফার করা অসংখ্য স্কলারশিপ তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নের অন্যতম কারণ বলা চলে।
কেন বেছে নেবেন অস্ট্রেলিয়া?
বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা অস্ট্রেলিয়ার সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, স্থানীয়দের স্বভাজাত আচরণ এবং উচ্চ শিক্ষাগতমানকে বিবেচনায় রেখে অস্ট্রেলিয়ায় পড়ার আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। অস্ট্রেলিয়ায় বড় অর্থের স্কলারশিপ অফার করা হয়ে থাকে, বিশ্ব-মানের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একটিতে পড়ার সুযোগতো থাকছেই! একটি অস্ট্রেলিয়ান ডিগ্রি ব্যাপকভাবে স্বীকৃত, অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ধারাবাহিকভাবে আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে ভাল পারফর্ম করে, অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসের খরচ বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যান্য শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয় অপেক্ষা সাশ্রয়ী, অস্ট্রেলিয়ান সরকার আন্তর্জাতিক বৃত্তির জন্য ২০০ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার ব্যয় করে। একাডেমিক সেশনে ২০ ঘন্টা পার্ট টাইম কাজ করে এবং শীতকালীন ছুটির মতো নির্ধারিত বিরতির সময় পুরো সময় কাজ করেও অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। অধিকন্তু, সমুদ্র হতে দূরবর্তী শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রদানের আশ্বাস দেয়, বিদেশী শিক্ষর্থীদের মানসিক শান্তি এবং আত্মবিশ্বাস প্রদান করে যে তারা অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করতে পারবে এবং যখন স্বাস্থ্য পরামর্শের প্রয়োজন হবে তখন তাও তারা পাবে। তাদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে। অস্ট্রেলিয়া বিশ্বে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য হিসেবে বিবেচ্য কারণ এটি একটি ইংরেজিভাষী দেশ যেখানে বন্ধুসুলভ মানুষ, একটি উচ্চমানের শিক্ষা ব্যবস্থা এবং একটি সুস্থ অর্থনীতি একই সাথে বিরাজ করে। স্নাতক ছাত্রদের, বিশেষ করে বাংলাদেশী ছাত্রদের জন্য তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় অধিক জনপ্রিয় যেগুলো হলো -মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এছাড়াও ইউনিভার্সিটি অফ নিউ সাউথ ওয়েলস, রয়েল মেলবোর্ন ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, ম্যককুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে।
আবেদনের সাধারণ প্রক্রিয়া: স্কলারশিপের জন্য আবেদনের পূর্বে কিভাবে সাধারণ আবেদন করা হয়ে থাকে সে সম্পর্কে জেনে নেয়া প্রয়োজন। অনলাইন আবেদনপত্রের কারণে আবেদনের প্রক্রিয়াটি এখন বেশ সহজ। এছাড়াও বাংলাদেশে অনেক স্বনামধন্য শিক্ষা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা অস্ট্রেলিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত প্রতিনিধি। তাই দ্রুত আপনাকে একটি আবেদন জমা দিতে হবে, তার সাথে পাসপোর্টের কপি, আইইএলটিএস পরীক্ষার ফলাফল, সমস্ত একাডেমিক সার্টিফিকেট এবং ট্রান্সক্রিপ্ট পাঠাতে হবে। আপনাকে ৫০০ শব্দের মধ্যে কেনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান সেই সম্পর্কে একটি বিবৃতি লিখতে হবে। এর বাইরে একটি সিভি এবং সুপারিশ পত্র লিখতে হবে। আবেদন পদ্ধতি বলতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদনের ফর্মগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পাওয়া যায় যেখান থেকে পূরণ করতে হবেসংক্ষেপে বলতে চাইলে, অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির জন্য আবেদন করার পূর্বে নিম্নলিখিত প্রয়োজনীয়তাগুলি পূরণ হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করুন:
* একাডেমিক প্রয়োজনীয়তা
* ভিসার প্রয়োজনীয়তা
* পর্যাপ্ত অর্থের প্রমাণ
* প্রোগ্রাম নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয়তা
* স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সার্টিফিকেট
কিভাবে পাব স্কলারশিপ?
- “ডেস্টিনেশন অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস” হল একটি সরকারী অর্থায়িত অস্ট্রেলিয়ান বৃত্তি যা অধ্যয়নের উদ্দেশ্যে দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় শিক্ষার্থীই পাবে। এখানে প্রতি বছর ছাত্র প্রতি ১৫,০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত পাওয়া যায় এবং ১,০০০-এর বেশি সংখ্যক বৃত্তি পাওয়া যায় এই স্কলারশিপের আওতায়।
- মেলবোর্নের মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে মেধাভিত্তিক বৃত্তি প্রদান করা হয়। এখানে মোট বৃত্তির মূল্য ৫০,০০০ ডলার। বৃত্তি প্রাপক হিসাবে একজন স্নাতক তার ডিগ্রির সময়কালের জন্য প্রতি বছর ১০,০০০ ডলার পাবেন। এই বৃত্তি পেতে একজনকে অবশ্যই আন্তর্জাতিক ছাত্র হতে হবে, স্নাতক ডিগ্রিতে ফুলটাইম শিক্ষার্থী হয়ে পড়াশোনা চালাবার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হতে হবে এবং মোনাশ অফারটি অবশ্যই পেতে হবে। একাডেমিক কৃতিত্বের শ্রেষ্ঠত্ব সহ একটি স্কলারশিপ স্টেটমেন্ট লিখতে হবে।
- অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জন্য, যোগ্যতার দিকে তাকানোর পাশাপাশি, অভিজাত ক্রীড়াবিদদের জন্যও তারা বৃত্তি দেয়ার কথা বিবেচনা করে; এছাড়াও ব্যক্তিগত অক্ষমতা বা আর্থিক কষ্টে জর্জরিত মানুষ; যারা আদিবাসী, প্রত্যন্ত স্থানে বাস করে, শরণার্থী বা যাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা খুবই কম – এমন ব্যক্তিদের বৃত্তি দেয়ার কথা ভাবে তারা। ২০২১ সালে, অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ANU) “ANU চ্যান্সেলরস ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ” নামে পরিচিত পুরষ্কার অফার করেছে। আবেদনকারীদের জন্য আলাদা কোনো আবেদন প্রক্রিয়া নেই। আবেদনকারীদের যোগ্যতার মাপকাঠি পূরণের উপর ভিত্তি করে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিবেচনা করা হবে। আবেদনকারীদের ANU তে অফার পাওয়ার সময় বৃত্তির অর্থ সম্পর্কে জানানো হয়েছে।
- ইউনিভার্সিটি অফ সিডনি প্রতি বছর ১০ মিলিয়ন স্কলারশিপ প্রদান করে। তারা বৃত্তি প্রদানের প্রেক্ষাপটে একাডেমিক অর্জন এবং গবেষণা সম্ভাবনার উপর ফোকাস করে। আইইএলটিএস স্কোর শুধুমাত্র একজনের ইংরেজি দক্ষতা প্রদর্শনের সক্ষমতা হিসেবে দেখে বিধায় ৭ স্কোর – ই যথেষ্ট! তবে এটির পিএইচডি এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য স্কলারশিপ সবচেয়ে জনপ্রিয়। তারা “সিডনি স্কলারস অ্যাওয়ার্ড” প্রদান করে যা ৬০০০ ডলার স্কলারশিপের একটি স্নাতক বৃত্তি যা ১০বছরের অসামান্য কৃতিত্ব প্রদর্শনকারী শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ডিগ্রি নিতে সহায়তা করে। আবেদন করতে অনলাইন আবেদন ফর্মটি পূরণ করে সমস্ত সহায়ক নথি (একটি ব্যক্তিগত বিবৃতি সহ) জমা দিতে হয়। যাদের অসাধারণ সৃজনশীলতা আছে বা যারা তাদের একাডেমিক কাজে ভালো বা গবেষণার সম্ভাবনা আছে তারা তাদের আবেদনপত্র জমা দিতে পারেন, তাদের আইইএলটিএস ফলাফল সংশ্লিষ্ট নথিপত্র, স্কলারশিপ স্টেটমেন্ট এবং সিভি সহ অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করতে স্কলারশিপ পেতে পারেন!
- নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয় (UNSW) বিশ্বের ৫০টি শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান পেয়েছে। এটি ২০২১ QS বিশ্ব র্যাঙ্কিং-এ ৪৪তম স্থানে রয়েছে। যেকোনো ক্ষেত্র নির্বিশেষে বিস্তৃত কোর্স অফার করে এই বিশ্ববিদ্যালয়, যেমন: প্রকৌশল, আইন, স্থাপত্য, ব্যবসা, শিল্প ও নকশা, চিকিৎসা এবং বিজ্ঞান। অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় গবেষণা-নিবিড় বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে ব্যাচেলর ডিগ্রি সাধারণত ৩-৬ বছরের হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা ডাবল মেজর করার সুযোগ পায়! আবেদন প্রক্রিয়ায় বাকি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এজেন্সি দ্বারা আবেদন করা যেতে পারে। সমস্ত আবেদনকারীদের ন্যূনতম দুটি অ্যাডভান্সড লেভেল (A2) বিষয় থাকতে হবে। নিম্নলিখিত মানগুলি ব্যবহার করে সেরা দুই, তিন বা চারটি A2 স্তরের বিষয় থেকে এন্ট্রি স্কোর গণনা করা হয়: A*=৬, A=৫, B=৪, C=৪, D=২ এবং E=১। এসএসসি, এইচএসসি একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট প্রয়োজন, ইংরেজি ভাষার দক্ষতা পরীক্ষা পাশ করে আসতে হয়। তবে বৃত্তির ক্ষেত্রে, “ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্টিয়া কোর্সওয়ার্ক স্কলারশিপ” প্রোগ্রামের ন্যূনতম সময়কালের জন্য সম্পূর্ণ স্কলারশিপ বা ২০,০০০ ডলার বার্ষিক টিউশন ফি স্কলারশিপ প্রদান করে থাকে। UNSW গ্লোবাল একাডেমিক পুরস্কার অর্জনের সুযোগ দেয় যা একটি দারুণ সুযোগ!
- রয়্যাল মেলবোর্ন ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (RMIT) অস্ট্রেলিয়ার ১৫তম সর্বোচ্চ র্যাঙ্কড বিশ্ববিদ্যালয়। এটি প্রযুক্তি এবং প্রকৌশলের জন্য খুব ভালভাবে স্বীকৃত। এটা সত্যিই প্রয়োগ গবেষণার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। মেলবোর্নে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করা নিয়ে এটার সুনাম রয়েছে। শীর্ষস্থানীয় র্যাঙ্কড ইউনিভার্সিটি ছাড়াও এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চকর্মসংস্থানের হার দৃশ্যমান। আবেদনের প্রয়োজনীয়তার মধ্যে রয়েছে ভর্তি পোর্টালের মাধ্যমে জমা দেওয়া একটি সম্পূর্ণ আবেদন, একাডেমিক যোগ্যতার প্রতিলিপি, ইংরেজি দক্ষতা পরীক্ষা বা IELTS (৬.৫-৮) বা TOEFL স্কোর এবং ব্যক্তিগত বিবৃতি, প্রফেশনালদের কাছ থেকে পাওয়া সুপারিশপত্র। “অস্ট্রেলিয়া অ্যাওয়ার্ডস স্কলারশিপ” যা সম্পূর্ণ টিউশন ফি কভার করে, উপবৃত্তি দেয়, ওভারসিজ স্টুডেন্ট হেলথ কভার (ওএসএইচসি) এবং অন্যান্য খরচ বহন করে তা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পারফরম্যান্স এর উপর দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া কিছু RMIT ফান্ডেড স্কলারশিপ এবং ইন্টারনাল স্কলারশিপ রয়েছে। এক্ষেত্রে ওয়েবসাইট দেখে শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বৃত্তির জন্য আবেদন করতে হয়।
- ম্যাককুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় সিডনির শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি। QS গ্লোবাল ওয়ার্ল্ড র্যাঙ্কিং-এ ২১৪ তম স্থান পেয়েছে এটি। প্রতিটি ক্ষেত্রে বিস্তৃত প্রোগ্রাম অফার করে থাকলেও অ্যাকাউন্টিং এ মেজর করার ক্ষেত্রে এটি সুপরিচিত। শিল্প, অভিজ্ঞতার মিশেলে গড়ে উঠেছে ডিজিটাল লাইব্রেরি। ম্যাকুয়ারি প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান ফিল্ম, টেলিভিশন এবং রেডিও স্কুলকে নতুন করে সাজিয়েছে। মেডিসিন সেক্টর নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে প্রযুক্তিগত উন্নত হাসপাতাল আছে। স্বীকৃত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের যোগ্যতা, কিছু ক্ষেত্রে ফাউন্ডেশন কোর্সের প্রয়োজন হতে পারে বা কোনো স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির (কমপক্ষে এক বছর), ইংরেজি দক্ষতা পরীক্ষা বা IELTS স্কোর ৬.৫, প্রতিটি ব্যান্ডে সর্বনিম্ন ৬.০ সহ সুপারিশ চিঠি ও “কেন পড়তে চাই” সূচক বিবৃতি আবেদন প্রয়োজনীয়তা হিসেবে কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিতে হয়। ম্যাককুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক স্তরে প্রতি বছর ৫০০০ থেকে ১০,০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার পর্যন্ত বৃত্তি প্রদান করে। স্নাতক স্তরে প্রতি বছর টিউশন ফি এর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত পরিমাণ বৃদ্ধি পায় তাই বৃত্তি প্রাপ্তি পড়াশোনার কার্যক্রমকে সহজ করে দেয়। এখানে মাস্টার্স ও পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য সম্পূর্ণ স্কলারশিপ অফার করা হয়
অস্ট্রেলিয়াতে পড়াশোনা করার উপায়গুলো জানার পর প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে যথাযথ রিকয়ারমেন্ট অনুযায়ী নিজেকে দক্ষ করে তোলা। নিজেকে পারদর্শী করে গড়ে তুলতে সক্ষম হলে সহজেই বিনা খরচে পড়া সম্ভব অস্ট্রেলিয়ায়!
আমাদের আরো ব্লগ পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
Writer
Nusanta Samayel Audri
Content Writing Intern
YSSE