ক্লাসে বহুবার তিনি তাচ্ছিল্যের শিকার হয়েছেন। শিক্ষকরা তাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে বলতেন তোমা’র দ্বারা কিছু হবে।
তাচ্ছিল্যের শিকার সেই ছা’ত্রীটিই এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। ভা’রতের ঝাড়খণ্ডের সিধো কানু
মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে নিযু’ক্ত হয়েছেন নয়াদিল্লির জহরলাল নেহরু ইউনিভা’র্সিটির (জেএনইউ) প্রফেসর সোনাঝরিয়া মিনজ।
স্বাধীন ভা’রতে এই প্রথম কোনো আদিবাসী মহিলার ভিসি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার ইতিহাস রচিত হল দেশে।
জানা গেছে, ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মু নিজেও একজন আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধি। তিনিই সোনাঝরিয়াকে নিয়োগ করেন এই পদে।
সোনাঝরিয়া মিনজ জেএনইউ এর স্কুল অফ কম্পিউটার এবং সিস্টেমস সায়েন্সের প্রফেসর ছিলেন।
সোনাঝরিয়া মিনজের এই কৃতিত্বে খুশি গোটা ঝাড়খণ্ড। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দিল্লি থেকে ঝাড়খণ্ড পৌঁছান অধ্যাপক মিনজ। দায়িত্ব নেন ভিসি হিসেবে।
সোনাঝরিয়া মিনজের স্কুলজীবন কে’টেছে রাঁচিতেই। সেখান থেকেই শুরু যু’দ্ধ ও সংকল্প। বহুবার শুনেছেন, ‘তোমা’র দ্বারা হবে না’।
এই মন্তব্য এসেছে খোদ শিক্ষকদের কাছ থেকেও। তবে এর কারণ এমনটা নয়, যে পড়াশোনায় খা’রাপ ছিলেন সোনাঝরিয়া।
এই মন্তব্যের কারণ ছিল এক ও একমাত্র তার আদিবাসী-পরিচয় এবং ইংরেজি ভাষার প্রতি অনর্গল দক্ষতার কমতি।
তখন থেকেই সোনাঝরিয়ো ঠিক করে নিয়েছিলেন, হার মানবেন না। পড়াশোনা করেই দেখিয়ে দেবেন, তিনিও পারেন। তারাও পারেন।
অনর্গল ইংরেজি বলতে পারাটা কেবলই অভ্যাসজাত দক্ষতা, তার বেশি কিছু নয়। এই জেদ এবং মেধার জো’র প্রতিফলিত হয় রেজাল্টে।
স্কুলজীবনের পরে ভাল ফল নিয়ে চেন্নাই চলে যান তিনি। সেখানকার মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজে স্নাতক পর্ব শেষ করেন। তারপর গণিতে এমএসসি করেন সেখানেই।
এর পরে এমফিল ও পিএইচডি করেন নয়াদিল্লির জেএনইউ থেকে, কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে। তারপর সেখানেই কয়েকবছর অধ্যাপনা করেন।
তথ্যসূত্রঃ বিডি ঢাকা লাইভ