সবকিছু ভার্চুয়াল ও অনলাইন হয়ে যাওয়ার এ যুগে সব রকম মানুষেরই একটি বড় সমস্যা হলো কোন কাজে মনোযোগ ধরে রাখা। যাদের বয়স কম তাদের মধ্যে এ সমস্যাটি আরো প্রকোপ আকার ধারণ করছে। একজন ছাত্র ক্লাসে মনোযোগ দিতে পারছে না, যেই মেয়েটা আগে এক বসায় সব কাজ করে ফেলতে পারতো, তার প্রডাকটিভিটির আজ বেহাল দশা। এর পিছনে মূল কারণ কী? আমাদের সবার জীবনধারণ পদ্ধতিতে এক বিশালরকম পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়াটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। প্র্যাকটিক্যাল কাজের অভিজ্ঞতার অভাব আমাদের করে তুলছে উদাসীন। সেজন্য মনোযোগ ধরে রাখার কৌশলগুলো আমাদের অনুসরণ করতে হবে বেশি বেশি। সে কৌশলগুলোর কয়েকটি এখানে তুলে ধরা হলঃ
- কাজের সময় কাজঃ কাজের সময় শুধুই কাজ করা উচিত। ব্যক্তিগত সময়ে শুধুই ব্যক্তিগত কাজ করুন। কাজের সময় ব্যক্তিগত চিন্তা–ভাবনা বাদ দিতে হবে। কিছু সময় শুধুই কাজের জন্য বরাদ্দ রাখতে হবে।
- একসঙ্গে একাধিক কাজ নয়ঃ গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজের সময় ফেসবুক, ই–মেইল বা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে। আমাদের মস্তিষ্ক একসঙ্গে একাধিক কাজ করার জন্য তৈরি হয়নি।বিভিন্ন গবেষণাতে দেখা গেছে, একসঙ্গে একাধিক কাজ বা মাল্টিটাস্কিং আমাদের উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দেয়।
- রুটিন বানানোঃ আমাদের সারা দিনে কোন কোন কাজ করতে হবে তার একটি তালিকা মনে মনেই অথবা লিখে তৈরি করে রাখা উচিত। সময় বাঁচাতে হলে কোন কোন কাজে সময় ব্যয় করছি তার আসল হিসাব রাখবো।
- সবচেয়ে জরুরী কাজটি বেছে নেওয়াঃ এটা যদিও খুব সাধারণ, কিন্তু একটু চিন্তা করলেই বুঝা যাবে ব্যাপারটা কতটা জরুরী। আমরা যদি আমাদের কাজ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জরুরী কোনটা – এটা না বুঝলে একটি কাজের মধ্যে আরেকটি কাজের চিন্তা আমাদের বিরক্ত করবে।
- শারীরিক পরিশ্রমঃ ব্যায়াম, হাঁটাচলা বা দৌড়ঝাঁপ শরীরের জন্য ভালো, এটা সবাই জানে। শারীরিক পরিশ্রম করে শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতা রাখার জন্যও জরুরি।
- বিরতি নেওয়াঃ একটানা কাজ করতে থাকলে তা কোন কাজ সফলভাবে শেষ করতে নিরুৎসাহিত করে। এ কারণে নির্দিষ্ট সময় অন্তর বিরতি নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
- সহজ দিয়ে শুরুঃ যেকোনো কাজের বেলায়, বিশেষ করে পড়াশোনার সময় সহজ বিষয় দিয়ে শুরু করব। একটা গতি চলে এলে কঠিন বিষয়েও মনোযোগ দেওয়া সহজ হয়ে যাবে।
- পরিমিত ঘুমানোঃ কম ঘুম আমাদের মনোযোগে বিরাট অন্তরায়। আবার বেশি ঘুমও বড় ক্ষতি করে ফেলে। তাই পর্যাপ্ত ঘুম এবং ঘুমের জন্য শারীরিক শ্রম জরুরি।
- লিখে রাখার অভ্যাসঃ ভুলে যাওয়ার সমস্যা ইদানীং প্রায় সবাইকে ভোগাচ্ছে। তাই কোনো কিছু শোনার সঙ্গে সঙ্গে বা পড়ার পর লিখে ফেললে মনোযোগ অন্য কিছুতে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
কাজী রিয়াজুল হাসান
ইন্টার্ণ, কন্টেন্ট রাইটিং ডিপার্টমেন্ট
YSSE