বর্তমান তরুণ সমাজের কাছে MNC কিংবা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো বেশ আকর্ষণীয় ক্যারিয়ার অপারচুনিটি। জনপ্রিয় এই সেক্টরে বিশেষত মাল্টিন্যাশনাল তথা বহুজাতিক বিপণন কোম্পানির বিপণন বিভাগে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন আমাদের অনেকেরই থাকে। বহু আকাঙ্ক্ষিত এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রতিনিয়ত তরুণদের নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়।
YSSE Presents Career Talk – এর ৪৫ তম পর্বে বহুজাতিক কোম্পানিতে তরুণদের ক্যারিয়ার গঠন বিষয়ক আলোচনায় আমাদের সঙ্গে রয়েছেন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে কর্মরত এক অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব – Marico Bangladesh এর Senior Brand Manager Tabriz Haidary স্যার। বরাবরের মতোই আমাদের গিফট পার্টনার হিসেবে রয়েছে Deep Blue Digital-Store।
জনাব Tabriz Haidary স্যারের রয়েছে মাল্টিন্যাশনাল সেক্টরে কাজ করার বিস্তর অভিজ্ঞতা। আর এই অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতেই স্যার উল্লেখ করেন মাল্টিন্যাশনাল সেক্টরের মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টে ক্যারিয়ার গঠনে শিক্ষা জীবনের শুরু হতেই নিজেকে বিশেষভাবে প্রস্তুত করতে হবে। আমাদের অনেকের মধ্যেই এমন ধারণা থাকে যে, মার্কেটিং সেক্টরে কাজ করার ক্ষেত্রে কেবলই মার্কেটিং সম্পর্কে জানাই যথেষ্ট। তবে প্রকৃতপক্ষে তেমন না, বরং মার্কেটিং সেক্টরে বেশ সফলতার সঙ্গে কাজ করতে হলে যেকোনো পণ্যের প্রোডাকশন থেকে শুরু করে তার মার্কেটিং পর্যন্ত সকল জ্ঞান রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। এক্ষেত্রে নিজেকে একজন কনস্ট্যান্ট লার্নার হিসেবে প্রস্তুত করতে হবে শিক্ষাজীবনের শুরু হতেই।
Tabriz Haidary স্যার উল্লেখ করেন, শিক্ষাজীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন কো-কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর মার্কেটিং সেক্টরে ক্যারিয়ার গঠনের ক্ষেত্রে শিক্ষা জীবনের শুরু থেকেই বিভিন্ন ধরনের কোর্স এনরোল করা বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সক্ষম। সেটা হতে পারে মার্কেটিং রিলেটেড বিভিন্ন ধরনের কোর্স কিংবা স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স।
মার্কেটিং সেক্টরে ব্র্যান্ডিং প্রতিষ্ঠা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্র্যান্ডিং এ কাজ করার ক্ষেত্রে, অনেকেই এমন ধারণা হয়ে থাকে যে, কেবলমাত্র ব্র্যান্ডিং স্ট্র্যাটিজি করতে জানলেই একটি ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা সম্ভব। তবে বাস্তবে তেমনটা নয়, একটি ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রত্যেকটা খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে একজন ব্র্যান্ডিং ম্যানেজারকে খোঁজ রাখতে হয়। তবেই যথাযথ ব্র্যান্ডিং স্ট্র্যাটেজি নিয়ে একটি ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব। ব্র্যান্ডিং এর মূল স্ট্র্যাটেজিগুলো সম্পর্কে জানতে চাইলে স্যার উল্লেখ করেন, ব্র্যান্ডিং এর ক্ষেত্রে তেমন নির্দিষ্ট কোনো স্ট্র্যাটিজি নেই বরং যে ধরনের প্রোডাক্ট নিয়ে আমরা কাজ করছি কিংবা যেই ধরনের প্রোডাক্টের ব্র্যান্ডিং প্রতিষ্ঠা করতে চাই, সেই প্রোডাক্টের মার্কেট এনালাইসিস করা এক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপরন্তু কাস্টমার বিহেভিয়ার এনালাইসিস এক্ষেত্রে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।
অনেক ক্ষেত্রেই আমরা ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা এবং রিব্র্যান্ডিং এর মধ্যে পার্থক্য করতে পারিনা, সেক্ষেত্রে স্যার উল্লেখ করেন, ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা বলতে বোঝায় কোনো একটি নতুন কনসেপ্ট নিয়ে কাজ করা যেখানে সাধারণ একটি প্রতিষ্ঠানকে আমরা ব্র্যান্ড হিসেবে তুলে ধরব। অন্যদিকে রিব্র্যান্ডিং বলতে বোঝায় পূর্বে প্রতিষ্ঠিত কোন ব্র্যান্ড যা বর্তমান মার্কেটের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছে না তাদের স্ট্রাটেজিতে সামান্য কিছু পরিবর্তন এনে তাকে পুনরায় একটি ব্র্যান্ড হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা। অর্থাৎ কোন একটি ব্র্যান্ডকে পুনরায় একটি ব্র্যান্ড হিসেবে তুলে ধরার ক্ষেত্রে, পূর্ববর্তী ব্র্যান্ডের মার্কেট এনালাইসিস করা ও কাস্টমার ইন্সাইট বুঝে সেই ব্র্যান্ডকে বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।
মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি গুলোর মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট বিশেষত একজন ব্র্যান্ড ম্যানেজার হিসেবে নিজেকে দেখতে চাইলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই শিক্ষা জীবনের শুরু হতেই নিজেকে তেমনভাবে গড়ে তুলতে হবে এবং অবশ্যই কেবলমাত্র একটি বিষয়ে পারদর্শী না হয়ে বিভিন্ন দক্ষতায় নিজেকে পারদর্শী করে তুলতে হবে।
SYEDA FAIRUZ NOSHIN
Content Writing Intern
YSSE
বিদেশে উচ্চশিক্ষা কিংবা স্কলারশিপ প্রাপ্তিতে রিসার্চ পেপার পাবলিকেশন ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ ?
মাল্টিন্যাশনাল ফুড এন্ড বেভারেজ কোম্পানিগুলোতে স্বপ্নের ক্যারিয়ার গঠন