বর্তমানে পুরো বিশ্ব করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ নামক মহামারীর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে,আজ এই দেশ তো কাল অন্য দেশে দেওয়া হচ্ছে লকডাউন। উদ্দেশ্য আক্রান্তের হার যাতে কম হয়,মানুষ যাতে সুস্থ থাকে।কিন্তু কর্মমুখর এই বিশ্বে দীর্ঘ লকডাউন দেওয়াটাও সম্ভবপর নয়,তাই বলা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে ,ভ্যাক্সিন দিতে যাতে ইমিউনিটি বাড়ে। আবার কেউ করোনা আক্রান্ত হলে বলা হচ্ছে গরম পানি দিয়ে গার্গল করতে,গরম পানির ভাপ নিতে আর ইমিউনিটি বাড়াতে ভিটামিন-সি জাতীয় খাবার খেতে। এই যে আমরা বারবার বলছি ইমিউনিটি ,এই ইমিউনিটি আসলে কি? আর এর ইমিউনিটি বাড়াবোই বা কি করে?তাহলে চলুন শুরু করা যাক।
ইমিউন সিস্টেম হল কোষ এবং প্রোটিনের সমন্বয়ে গঠিত একটি জটিল নেটওয়ার্ক যা মানব দেহকে বিভিন্ন সংক্রমণের বিরুদ্ধে রক্ষা করে। একদম সহজ ভাষায় বললে, ইমিউন সিস্টেম হলো মানব দেহে কোনো জীবাণু প্রবেশ করলে তা শনাক্ত করে এবং জীবাণুটিকে ধ্বংস করে বা করার চেষ্টা করে এবং প্রতিটি জীবাণুর (অণুজীব) রেকর্ড রাখে যে আগে এটি কখনও পরাজিত হয়েছে কি না তাই এটি আবার শরীরে প্রবেশ করলে জীবাণুটিকে দ্রুত চিনতে এবং ধ্বংস করতে পারে।এই যে মানব দেহকে বিভিন্ন জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করার প্রক্রিয়াটাই হলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমিউনিটি।
ইমিউনিটি খানিকটা জিনগত বিষয় হলেও প্রধানত একজন মানুষের জীবনযাত্রার উপরেই নির্ভর করে। আর এজন্যই কিন্তু এখন হেলদি লাইফস্টাইল নামক শব্দটা আমরা প্রায়শ শুনতে পাই।
তাই ইমিউনিটি বাড়াতে আমাদের স্বাস্থ্য এর দিকে খেয়াল রাখার কোনো বিকল্প নেই, স্বাস্থ্য বলতে কিন্তু এখানে শারীরিক ও মানসিক উভয় স্বাস্থ্যকে বোঝাচ্ছে।
ইমিউনিটি বাড়াতে তাই আমাদের যেসব অভ্যাস করা দরকার তা হলো
🡺 প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় খাদ্য এর ছয়টি উপাদান(শর্করা,আমিষ,স্নেহ,ভিটামিন,খনিজ, পানি) রাখার চেষ্টা করুন।প্রতিদিন ৬-৮ গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন।
🡺 প্রতিদিন অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
🡺 সিগারেট ও মদ্যপান এড়িয়ে চলুন।
🡺খুব বেশি চা কফি খাওয়া এড়িয়ে চলুন।
🡺 নিয়মিত ব্যা্য়াম , যোগাসনের মতো শারীরচর্চা করার চেষ্টা করুন। আর তা সম্ভব না হলে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ মিনিট এর মতো হাঁটাহাঁটির অভ্যাস করুন। এতে ক্লান্তিও দূর হবে আর দলবেঁধে হাঁটতে বের হলে বা ছাদে বা পার্কে বা বাইরে বের হলেও মানসিক একটা প্রশান্তি আসবে।
🡺নিজের উচ্চতার সাথে মানানসই ওজন বজায় (BMI ১৮.৫-২৪.৯ এর মধ্যে)রাখার চেষ্টা করুন।কারণ বেশি ওজন যেমন স্বাস্থ্য এর জন্য ক্ষতিকর তেমনি কম ওজন ও।
🡺 মন ভালো রাখার চেষ্টা করন। অবসাদ থাকলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমবে।
🡺মানসিক স্ট্রেস এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন।
মূলত এইসব অভ্যাসই হেলদি লাইফস্টাইলকে নির্দেশ করে যা আমাদের ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। নিজের জীবনের অভ্যাসকে পরিবর্তন করুন। এই অভ্যাসই আপনার জীবনকে পরিবর্তন করে দেবে।
আমাদের আরো ব্লগ পড়তে ক্লিক করুন এখানে।
Writer
Ummehani Mimi
Content Writing Intern
YSSE