৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ এ ফেসবুকের ১৮ তম জন্মদিনে কি নামে শুভেচ্ছা জানাবে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা! শুভ জন্মদিন ফেসবুক না কি অন্য কোনো নামে?
মনে এই রকম হাজারো প্রশ্ন চলছে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের?
একটি কথা সত্য যে, ফেসবুক তার নাম পরিবর্তনের পরিকল্পনা করছে এ বছরের শুরু থেকেই! কিন্ত ফেসবুকের নতুন নাম কি হবে এ নিয়ে বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ ও সংবাদ মাধ্যম ভিন্ন ভিন্ন মতামত দিয়েছে। তবে আজ ২৮ অক্টোবর (বুধবার), ২০২১ এ ফেসবুকের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে চূড়ান্ত নাম প্রকাশ করবেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্বের সর্বকনিষ্ঠ বিলিওনিয়র মার্ক জাকারবার্গ। এ তথ্যটি মার্কিন প্রযুক্তি ভিত্তিক ব্লগ দ্যা ভার্জ এ জানা গিয়েছে।
টেক প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে এটি নতুন কোনো ঘটনা নয়। কারণ পূর্বে বিভিন্ন টেক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজেদের বিনিয়োগ বৃদ্ধি করার জন্য ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন সময় আশ্চর্যজনক উপহার এইভাবেই দিয়ে এসেছে। ফেসবুকও সেই একই কাজ করতে চলেছে।
ফেসবুক মূলত তার প্রতিদ্বন্দ্বী থেকে নিজেকে এগিয়ে রাখতে এবং ব্যবহারকারীর সংখ্যা আরো বাড়াতে এ কাজ করছে। তাদের টার্গেট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোর প্রতি বেশি। এখন তাহলে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-
ফেসবুকের একটি আশ্চর্যজনক ঘটনার সাথে আমরা প্রায় সকলেই পরিচিত। যেমন- কেউ যদি চিন্তা করে যে মোবাইল কিনবে তাহলে ফেসবুক ওপেন করলেই মোবাইলের এড দেখা যায়। এই রকম অনেক ঘটনা প্রায়ই ঘটে অনেকের সাথে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে ফেসবুকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ব্যবহার! দিন দিন এটি অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠছে। আর এরই একটি প্রো ভার্সন হচ্ছে মেটাভার্স! নামটি বেশ ইন্টারেস্টিং তাই না? আসলেই!
মেটাভার্স মানে ভার্চুয়াল জগৎ। এর সংক্ষিপ্ত নাম হচ্ছে মেটা যেখানে ভার্চুয়ালকে ভার্চুয়াল মনে হবে না একদম বাস্তব মনে হবে! বাস্তবতা আর ভার্চুয়াল মার্জ হয়ে যাবে। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স) একটি নতুন চমক হিসেবে আসতে চলেছে! একইসাথে ফেসবুকেরও রিব্র্যান্ডিংও হবে। এটি তৈরি করতে ফেসবুক ৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে বলে জানা গিয়েছে। শুধু মেটাভার্স তৈরির লক্ষ্যে প্রায় ১০ হাজার কর্মী নিয়োগ দিয়েছে ফেসবুক! তাহলে এখানেই বুঝা যাচ্ছে এটি কতটা সিরিয়াস ইস্যু। এ নিয়ে জাকারবার্গ যা বলেন-
“মেটাভার্স ইন্টারনেটের এমন একটি জগত হবে, যেখানে আপনি সবকিছু মনিটরে দেখছেন এমন নয় বরং আপনি তার ভেতরেই রয়েছেন”!
এর ডেভেলপমেন্টে থাকবে রিস্টব্যান্ড প্রযুক্তি, অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) গ্লাস, অকুলাস ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) হেডসেট, বিগবক্স ভিআর সহ অনেকগুলো ভিআর গেমিং স্টুডিও।
প্রযুক্তির দুনিয়ায় নিজেদের অবস্থান আরো মজবুত করতে ফেসবুকের এই বিনিয়োগ গভীর প্রভাব ফেলবে এবং পরবর্তীতে অনেক সহায়ক হবে বলে আশা করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এবং তারা এও আশা করছে যে যদি মেটাভার্স আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সফল হয় তাহলে ফেসবুক একটি পরিপূর্ণ মেটাভার্স প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে। লন্ডন ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স থেকে এ তথ্য জানা গিয়েছে।
আমাদের আরো ব্লগ পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
Writer
Mahfuja Aktar Shipa
Content Writing Department Intern
YSSE