উদ্যাক্তা এমন একজন ব্যাক্তি যিনি ঝুঁকি গ্রহণ করে নিত্যনতুন বা বিদ্যমান পণ্য বা ব্যবসায়ের উদ্ভব ঘটান। প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে খাপ খাইয়ে নেয়া, হঠাৎ উদ্ভুত বাজার ঝুকিকে সামলে নেয়ার অসাধারণ ক্ষমতা নিয়ে পথ চলতে হয় প্রত্যেক উদ্যোক্তাকে।
একজন উদ্যোক্তাকার মধ্যে কিছু আলাদা গুণ তাকে অন্যদের চেয়ে আলাদা করে তোলে। তা মানসিকতা, চিন্তাধারার গন্ডিতে তুলে ধরা হলে ব্যতিক্রমী কিছু বিষয় ফুটে ওঠে। যেমনঃ
- গতানুগতিক চিন্তাধারার বাইরে চিন্তা করতে পারেন একজন উদ্যোক্তা। উদ্যোক্তাদের সবসময় আলাদাভাবে চিন্তা করতে হয়, সচারাচর বা সবাই যেভাবে চিন্তা করে উদ্যোক্তা মন তা থেকে ব্যতিক্রম উপায়ে চিন্তার ক্ষমতা রাখেন। মার্ক জাকারবার্গের পর যিনি পরবর্তী প্রভাববিস্তারকারী হবেন তিনি এমন কোনো বিষয় নিয়ে আসবেন যা এখনও হয়তো কেউ চিন্তা করেনি বা গুরুত্ব অনুধাবন করেন নি কিন্তু সমাজে ব্যাপক প্রভাব রাখতে পারে। এ কারণেই স্ন্যাপচ্যাটের প্রবৃদ্ধি এখন ফেসবুকের চেয়ে বেশি, কারণ তা ব্যবসায় ক্ষেত্রে নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে।
- শীর্ষ উদ্যোক্তারা নিজের দক্ষতা প্রমাণে আগ্রহী থাকে। কারণ দিনশেষে উদ্যোক্তাদের পথচলার গল্প শুনতে মানুষ যতটা আগ্রহী হয় সফল চাকুরীজীবির সফলতার গল্পে ততটা আগ্রহ থাকে না।
- উদ্যোক্তারা ঝুঁকি নিতে আগ্রহী থাকে। তারা পরিশ্রমী ও আত্মপ্রত্যয়ী হতে হয়। প্রথম কয়েকবছর নিজেদের কর্মদক্ষতা কে কাজে লাগিয়েই তাদের ব্যবসায়ে অবস্থান তৈরি করতে হয়। তবে নিজের অর্জিত সফলতার ভাগ নিজেদের অধীনেই থাকে।
একজন শিক্ষিত তরুন বা তরুনী যখন স্নাতক বা স্নাতকত্তোর শেষ করে চাকরিতে যোগদান করে সে যদি দেশের রাজস্ব খাতে ১০০০০ টাকা বিনিয়োগ করে তবুও একজন উদ্যাক্তা হিসেবে সে আরো দশজনের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারে। যা ১০০০০০ টাকার রাজস্বের অংশীদার হতে সক্ষম। একটি দেশের ব্যবসায়িক ইকোসিস্টেমে সরকারি সাহায্যই মূল নয়। তবে সরকারী ইতিবাচক সাহায্য অনেকটা সহায়ক হতে পারে। এ ব্যাপারে সরকারকেরও এগিয়ে আসতে হবে।
সুমাইয়া সুলতানা
ইন্টার্ন, ওয়াইএসএসই।