আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা সূচকে বাংলাদেশ আরও ২৫ ধাপ এগিয়ে গেলো! সম্প্রতি “গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি ইনডেক্স-২০২০” প্রকাশিত হওয়ায় এই খবর সবার সামনে আসে, ভার্চ্যুয়াল জগতে নিরাপত্তার প্রশ্নে যা সত্যিই একটা দারুণ সুখবর।
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের ডিজিটাল হয়ে পড়ার সাথে সাথে এ খাতে নিরাপত্তার প্রশ্নটাও বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রযুক্তির এক বিস্ময়কর আবিষ্কার হলো ইন্টারনেট। আজ আমরা প্রযুক্তির কল্যাণে চাকরি-বাকরি থেকে শুরু করে ব্যবসা-বানিজ্য, অফিস-আদালত, মিটিং, পড়াশুনা ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোর জন্য অনেকাংশেই ইন্টারনেট নির্ভর হয়ে পড়েছি। আর এই করোনাকালে আমরা কেনাকাটা থেকে শুরু করে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের সকল কাজগুলোর জন্যই কিন্তু সত্যিকার অর্থে অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়েছি। এজন্যই আজ আমাদের কাছে অনলাইন নিরাপত্তার প্রশ্নটা বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আমাদের প্রাত্যহিক কাজগুলোর জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়া এ খাতে দুষ্কৃতিকারীদের প্রতারণার সুযোগ সৃষ্টি করছে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সাইবার নিরাপত্তা সূচকে বাংলাদেশের আরও ২৫ ধাপ এগিয়ে যাওয়া সত্যিই এক অভূতপূর্ব সাফল্যের পরিচায়ক।
সাইবার সিকিউরিটি কি?
বর্তমানে অনলাইনে যেকোনো ধরণের স্টার্টআপ, চাকরি শুরু করতে কিংবা কেনাকাটা করতে গেলে আমাদের প্রথমেই যে বিষয়টা নিয়ে ভাবতে হবে তা হলো সাইবার সিকিউরিটি। সহসাই আমাদের মনে এই প্রশ্নটা জেগে ওঠে যে সাইবার সিকিউরিটি সম্বন্ধে আমরা সচরাচর যতটা জেনে থাকি, সেই গন্ডির মধ্যেই একে সঙ্গায়িত করা হয়?
আসলে ইন্টারনেট জগতটাই হলো সাইবার। আর ইন্টারনেটে আপনার ব্যবসায়িক নথিপত্র, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, গুরুত্বপূর্ণ প্রোগ্রাম ইত্যাদির নিরাপত্তাই মূলত সাইবার সিকিউরিটি। আপনার ইমেইল, ফেসবুকসহ অন্যান্য প্লাটফর্মগুলোর গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাদির নিরাপত্তাও কিন্তু সাইবার সিকিউরিটির একটা অংশ।
হ্যাকাররা মূলত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ এসব নথিপত্র, কম্পিউটার প্রোগ্রাম বিভিন্ন উপায়ে চুরি করে ইচ্ছেমতো অর্থ দাবি করে। আবার অনেক ক্ষেত্রে ব্যক্তি কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক স্বার্থেও এগুলো করা হয়ে থাকে যাকে সাইবার আক্রমণ বলা হয়।
সাইবার সিকিউরিটিতে বাংলাদেশের উন্নতির ঘোষণা
জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থা আন্তর্জাতিক টেলিযোগযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) কর্তৃক আয়োজিত “গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি ইনডেক্স-২০২০” অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়ার উক্ত ফলাফল ঘোষণা দেওয়া হয়।
সূচকটি মূলত বিশ্বের ১৯৪টি দেশের সাইবার নিরাপত্তায় গৃহীত আইনি ব্যবস্থা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তিগত দক্ষতা, পারস্পরিক সহযোগীতা, সাংগঠনিক দক্ষতা ইত্যাদি পরিস্থিতির বিবেচনায় প্রকাশ করা করা হয়েছে।
সূচকটি প্রকাশকালে বাংলাদেশের সাইবার সিকিউরিটি ইস্যুতে শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখার বিষয়টি আলোকপাত করা হয়। এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায়ে শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তা হাব গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে, যা সক্ষমতা উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হতে পারে।
সাইবার নিরাপত্তায় আমাদের ভবিষ্যৎ যেমন হতে পারে
বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতির দেশ। আমরা প্রতিনিয়তই ডিজিটাল মাধ্যমগুলোর উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বানিজ্য সহ প্রাত্যহিক জীবনের প্রায় সকল প্রয়োজনীয় কাজগুলোর জন্য ইন্টারনেট একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে । এজন্যই অনলাইন নিরাপত্তা ইস্যুটি আমাদের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আর অনলাইন নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশের এই এগিয়ে যাওয়া একটি শক্তিশালী উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সত্যিকার অর্থেই সহায়তা করবে।
নিজেকে এগিয়ে রাখতে আমাদের অন্য ব্লগগুলো পড়ুন।
Sm. Shahin Ahmed Nazim
Intern
Content Writing Department
YSSE