অনেক উদ্যোক্তা তাদের ব্যবসার কাস্টমারের মনোযোগ আকর্ষনের জন্য অনেক কিছুই করে থাকেন । সেটি মাঝে মাঝেই অতিরিক্ত খরচের একটি কারণ হয়ে দাঁড়ায় । কোম্পানির সামগ্রিক মূল্যায়নে ব্যয় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ।
স্টার্ট আপের সফলতা দুটি জিনিষের উপর নির্ভর করে । একটি হচ্ছে সময় এবং অপরটি হচ্ছে মূলধন। স্টার্ট আপের একজন প্রতিষ্ঠাতাকে এ দুই উপাদানের সাথে সবসময় ভারসাম্য করে চলতে হয়।
প্রতি ছোট-খাট ব্যাপার স্টার্ট আপে অত্যন্ত প্রভাব ফেলতে পারে । প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে একজন উদ্যোক্তাকে প্রতিটি ব্যাপারে সুচারুভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। তবে গুরুত্বপুর্ণ কিছু লক্ষ্য না করার কারনে অনেক সময়েই একটি স্টার্ট আপের চলার পথে বাধা আসতে থাকে। উদাহরণস্বরুপ অর্থসংকটে পড়ার চেয়ে আগে থেকে অর্থসংকট মোকাবেলার ব্যবস্থা নিয়ে রাখলে ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমে যায়। সুতরাং চলুন জেনে নেয়া যাক কিছু বিষয় যা একজন প্রতিষ্ঠাতাকে সবসময় মেনে চলা উচিত ।
অগ্রাধিকার দেওয়াঃ
যে কোন স্টার্ট আপে করণীয় কাজ অনেক। প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে একজনকে সঠিক কাজ সঠিক সময়ে নির্বাচন করে তা যথাযথ ভাবে সম্পন্ন করা উচিত।
কাজ বণ্টন করাঃ
স্টার্ট আপে সফলতার প্রধান ধাপ হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে কাজ সম্পন্ন করা। প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে সব কাজ নিজে নিজে করা এক প্রকার অসম্ভব একটি ব্যাপার। সব কাজ নিজে করার উদ্যেগ নিলে কোন কাজেই সময় মতো শেষ করা সম্ভব নয় । সে জন্য কোম্পানির সকলের সাথে একটি সহযোগিতা সম্পন্ন পরিবেশ গড়ে তোলার পাশাপাশি সকলকেই কাজ বণ্টন করে দেয়া একজন প্রতিষ্ঠাতার কর্তব্য।
দ্রুত অনুধাবন করাঃ
যে কোন কারণেই হোক স্টার্ট আপে পণ্যের লক্ষ্য পূরণ নাও করতে পারে। একজন প্রতিষ্ঠাতার কর্তব্য কারণ গুলি খুঁজে বের করা এবং সমস্যার সমাধান করা। পণ্য ভালো হলেও অন্যান্য অনেক কিছুর জন্য সেটি লক্ষ্য পুরণে ব্যর্থ হতে পারে । কারণ গুলি বের করে সেগুলি দ্রত সমাধান করা উচিত ।
স্টার্ট আপ কোন রকেট বিজ্ঞান নয় ।সবার লক্ষ্য এবং কাজ করার পদ্ধতি ভিন্ন । স্টার্ট আপে ভাল কিংবা খারাপ উভয় সময়ের মাঝে দিয়ে যেতে হয় । তবে কঠোর পরিশ্রম করে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের মাধ্যমে একটি স্টার্ট আপকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
source:https://evhive.co/blogs/build-your-company
Photo Source: freepik.com
By
Md. Khalid Bin Zaman