ক্যারিয়ার নিয়ে এই প্রজন্মের আমরা সবাই কমবেশি চিন্তিত। তার উপর করোনার এই সময়ে অনিশ্চয়তা আরো বেড়ে গেছে। অনেকেই হতাশ হয়ে পড়েছেন। কিন্তু আপনি বাসায় বসেও ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্টের জন্য খুচরো কিছু কাজ করে দেখতে পারেন। যেমন:
***আপনি কোন কাজগুলো ভালো পারেন তা খুঁজে বের করুন। দিন যতই যাচ্ছে ক্যারিয়ার বিল্ডাপ ততই জটিল হয়ে পড়ছে। সময়মতো জীবন নিয়ে প্ল্যানিং না করলে আটকে যেতে পারেন। কাজেই ক্যারিয়ারের কোনো ক্ষেত্রে গেলে আপনি ভালো করবেন তা খুঁজে বের করুন। সময় নিন। নিজের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পোর্টফলিও তৈরী করুন। অনলাইনে এপ্লাই করার সুযোগ আছে কিনা তাও খোঁজ নিন। ধরুন আপনার প্রোগ্রামিং স্কিল আছে। যদিও শেখার কোনো শেষ নেই, তবু আপনি টুকটাক ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতেই পারেন।
***লকডাউনে পুরো পৃথিবীকে থেমে থাকা মনে হলেও পৃথিবী আসলে থেমে নেই। ধরুন যিনি এতদিন টিচার ছিলেন, তিনি এখন অনলাইন টিচার হয়ে গেছেন। যেসব ফ্যাশনহাউজ আগে আউটলেটের ওপর ভিত্তি করে চলতো, তারা এখন অনলাইনভিত্তিক হয়ে গেছে। তো আপনিও ভাবুন লকডাউনের আগে কী করছিলেন, সেটা এখন অনলাইনে করা যায় কিনা। আপনি যদি ছাত্র হন, বই পড়তে পারেন। লেখালেখি করতে পারেন। অনলাইন ইন্টার্নশিপের অফার আছে অনেক। ব্রাউজ করে দেখতে পারেন কোনোটায় আপনার সুযোগ আছে কিনা।
***ভবিষ্যতে ব্যবসা-বাণিজ্যের ইচ্ছা আছে? ব্যবসা শুরুর জন্য খুব প্রয়োজনীয় একটা কাজ হলো নেটওয়ার্কিং। সোশ্যাল মিডিয়াতে তো একটিভ আছেনই। অর্ধপরিচিত-অল্পপরিচিত মানুষদের সাথেও যোগাযোগ করুন। আপনার যে সেক্টরে আগ্রহ আছে তার জন্য ইনফরমেশন জোগাড় করুন। হতেও পারে লকডাউনের পর বেশকিছু পার্টনার নিয়ে ব্যবসা দাঁড় করিয়ে ফেলতে পারবেন।
***এই লকডাউনে আরেকটা মজার কাজ করতে পারেন। নিজের যে স্কিল আছে সেটা শেয়ার করতে পারেন। অনলাইন ক্লাসের মতো হতে পারে সেটা। আবার হতে পারে আপনার মতো স্কিলড একটা গ্রুপের সাথে আড্ডা। একজন আরেকজনকে জানবেন, আড্ডা দিবেন। ধরুন আপনি মেডিটেশনের রুলস জানেন, অনলাইনে সকালে বয়স্কদের জন্য মেডিটেশনের শিডিউল বানাতে পারেন। এই সময়ে অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধাই আতংকিত। এটা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যরক্ষায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া বন্ধুদল গঠনের মাধ্যমে নতুন আইডিয়া বের হয়ে আসতে পারে। অর্গানাইজেশনের মতো হয়ে যেতে পারে। তৈরি হতে পারে নতুন কোনো সম্ভাবনা।
সামহা/ওয়াইএসএসই