করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে এখন লকডাউন চলছে দেশজুড়ে। ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে চাই পরিচ্ছন্নতা, সাবধানতার। একই সঙ্গে এই সময় সুস্থ থাকাটাও একান্ত প্রয়োজন। দীর্ঘ এক মাসেরও বেশি সময় ধরে শরীরচর্চার অভাব, সারাদিন বসে বসে কাজ ইত্যাদির কারণে অনেকেই এখন হজমের সমস্যায় ভুগছেন। তার উপর হাজার চেষ্টার পরেও কিছুতেই ওজন কমছে না! আছে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও। এমনই অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার সহজ সমাধান হল, দিনের মধ্যে কয়েক গ্লাস হালকা গরম পানি । প্রতিদিন কয়েক গ্লাস কুসুম গরম পানি নিয়মিত খেতে পারলে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। আসুন এ বিষয়ে সবিস্তারে জেনে নেওয়া যাক…
১) আমরা অনেকেই খেতে বসে পানি খাই। এতে খাবারের সঙ্গে হজমের এনজাইম সঠিক ভাবে মিশতে পারে না। ফলে হজমের নানা সমস্যা দেখা দেয়। খাবার খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে যদি এক গ্লাস হালকা গরম পানি খাওয়া যায়, তাহলে অ্যাসিডিটি, বদহজম, অম্বলের মতো একাধিক সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। হালকা গরম পানি খাবার দ্রুত হজমেও সাহায্য করে।
২) দীর্ঘদিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন? সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস কুসুম গরম পানি খেতে পারলে পেট সহজেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়ম করে হালকা গরম পানি খেতে পারলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে দ্রুত মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
৩) সাধারণ তাপমাত্রার পানির তুলনায় হালকা গরম পানি খেতে পারলে শরীরের ভেতরের তাপমাত্রাটা সামান্য হলেও বৃদ্ধি পায় এবং ঘাম হয় বেশি। অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার ফলে শরীরে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় উপাদান ঘামের সঙ্গে বাইরে বেরিয়ে যায়। এতে শরীর দ্রুত ডিটক্স হয়ে যায়।
৪) দ্রুত মেদ ঝরাতে হালকা গরম পানি অত্যন্ত কার্যকর। শরীরের মেটাবলিক রেট বাড়ে এবং সহজেই অনেকটা ক্যালোরি পোড়ে। কুসুম গরম পানি খিদে বোধ কমিয়ে ওজন কমাতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানি সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারলে মেদ ঝরবে দ্রুত।
৫) প্রতিদিন সকালে খালি পেটে হালকা গরম পানি খেতে পারলে শরীরের টক্সিক উপাদানগুলি সহজেই বাইরে বেরিয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, বাড়বে শরীরের আভ্যন্তরীন তাপমাত্রাও। শরীরের তাপমাত্রা বাড়লে শিরা, ধমনীতে রক্তচলাচলের গতিও স্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায়।
source: znews