বাংলাদেশের তরুণদের স্বনির্ভরশীল করতে প্রয়োজন তাদের দক্ষতা উন্নয়নের। বাংলাদেশ সরকারের যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় আবাসিক ও অনাবাসিকদের আত্মকর্মসংস্থান সংক্রান্ত নানা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দেয়।
জেলা পর্যায়ে যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পরিচালিত আবাসিক প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহ হলো
গবাদিপশু, হাঁস-মুরগী পালন, প্রাথমিক চিকিৎসা, মৎস্য চাষ ও কৃষি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্স, ফল চাষ, মাশরুম ও মৌ চাষ ইত্যাদি।
এই কোর্সগুলো প্রতিটি সাধারণত ১মাস স্থায়ী হয়। ১০০টাকা ভর্তি ফি নেয়া হয় এতে। মাসিক ৩০০০টাকা করে ভাতা দেয়া হয়। গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল রাখছে। এছাড়া গৃহভিত্তিক উদ্যোগের মাঝে সোয়েটার নিটিং, ব্লক/বাটিক ডিজাইন, পোশাক তৈরি প্রভৃতির জন্য প্রশিক্ষণও দেয়া হয়ে থাকে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ যে শুধু গ্রামীণ প্রেক্ষাপটেই দেয়া হয় এমন নয়। ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং এবং কম্পিউটার সংক্রান্ত বিভিন্ন কোর্সেরও ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।
শহরভিত্তিক উদ্যোক্তাদের কথা ভাবতে গেলে ব্র্যাক খুলে দিচ্ছে সুযোগের দরজা। ব্যবসা শুরু করার সবচেয়ে সবচেয়ে বড় বাঁধা হলো স্কিল এবং ব্যবসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় জ্ঞানের অভাব। উদ্যোক্তাদের স্কিল ডেভলপমেন্টের জন্য নানা প্রোগ্রাম আছে ব্র্যাকের। এছাড়া রয়েছে ক্ষুদ্র ঋণের সুযোগ।
এধরনের আরো একটি প্রতিষ্ঠান হলো প্রশিকা।
কার্যকরী প্রশিক্ষণ পাওয়া যায় bdjobs এও। এই ওয়েবসাইটে নিজের একাউন্ট ক্রিয়েট করলেই পাওয়া যাবে ট্রেইনিং সংক্রান্ত যাবতীয় বিজ্ঞপ্তি। সাধারণত ট্রেইনিং এর পর সার্টিফিকেটও দেয়া হয়।
ব্র্যাকের একটি প্রতিবেদনে দেখা গেছে বয়স ৩০ এর নিচেই বেশিরভাগ তরুণ ব্যবসা শুরু করে। তবে ১০জনের মাঝে ৮জনই কোনো না কোনো কারণে লাভের মুখ দেখতে পায় না, পিছু হটতে বাধ্য হয়। এর কারণ সাধারণত মূলধনের বা দক্ষতার অভাব। মূলধন সংগ্রহ করার জন্য এর উপায়গুলো জানা জরুরি। সবচেয়ে জরুরি নিজের ব্যবসা সংক্রান্ত দক্ষতা বাড়ানো। বলা হয় উদ্যোক্তাদের হতে হয় সবচেয়ে স্মার্ট, চিন্তায় ও কাজে।
মাহরাতুন সামহা
ইন্টার্ন, YSSE